ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা, গ্রেপ্তার ২
Published: 8th, May 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকালে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোাল্ডেন লাইন পরিবহন বাসের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস (২৩) ও হেলপার সাইফুল ইসলাম শান্ত (২৬)। এর মধ্যে, কল্যাণ বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী এলাকায় আর সাইফুলের বাড়ি ঢাকায়।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের সংশ্লিষ্টদের খোঁজা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার, বরখাস্ত ২
আশুলিয়ায় পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে দেশীয় অস্ত্র, ককটেল উদ্ধার
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে একজন গর্ভবতী নারীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের দিকে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। ওই গাড়িতে অসুস্থ নারীর কয়েকজন স্বজনও ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে যায়। সেখানে সড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা সচল করার জন্য কাজ চলছিল। অ্যাম্বুলেন্সটির পাশেই ছিলেন দুর্ঘটনার স্বীকার ব্যক্তিরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত হন দুই নারী ও তিনজন পুরুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরো চারজন মারা যান।
ঢাকা/রতন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে