পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বাজার থেকে বাইসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে পাথর বোঝাই ট্রাকের চাপায় সঞ্জয় চন্দ্র রায় (১৪) ও অনিক চন্দ্র রায় (১৩) নামে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের লক্ষীরহাট বাজার সংলগ্ন চার তালার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সঞ্জয় চন্দ্র রায় পামুলী ইউনিয়নের ভুল্লী পাড়া এলাকার রাজকুমারের ছেলে। সে পামূলী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। অনিক চন্দ্র রায় একই এলাকার অতুল বর্মনের ছেলে। সে লক্ষীরহাটের একটি ওয়েলডিংয়ের দোকানে কাজ করতো। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সঞ্জয় চন্দ্র রায় বাজার করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে লক্ষীরহাটে যায়। সেখান থেকে তার সমবয়সী চাচা অনিক চন্দ্র রায়সহ বাইসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে চার তলার মোড় এলাকায় পঞ্চগড় থেকে আসা একটি পাথর বোঝাই ট্রাক তাদের পিছন থেকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে, স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক, ট্রাকের চালক ও সহকারীকে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ীর চালক মো.

আব্দুল হালিম (৬০) এবং সহকারী মো. জাহিদ হাসানকে (২৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় পাথর বোঝাই ঘাতক ট্রাকটিও আটক করা হয়।

আটক মো. আব্দুল হালিম ঢাকা আমিন বাজার এলাকার বড়দেশী এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং মো. জাহিদ হাসান রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, “ট্রাকচাপায় দুইজন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক ট্রাক, ট্রাকের চালক এবং সহকারীকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

ঢাকা/নাঈম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ