লিভারপুলের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দারুণ এক মৌসুম কাটছে মোহাম্মদ সালাহর। চার ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ জয় নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। সবচেয়ে বেশি গোল করা ও করানোর তালিকায় এক নম্বরে সালাহ। ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফডব্লিউএ) বছরের সেরা ফুটবলারও হয়েছেন মিসরীয় তারকা।

সালাহ অনেকের চোখেই লিভারপুলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। কিন্তু সালাহর কাছে সেরা কে? সেটাও তাঁর মতোই বাঁ পায়ের ফুটবলারদের মধ্যে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’ সালাহর সাক্ষাৎকারে ঠিক এ প্রশ্নই করেছিল। সেরার খোঁজে ধীরে ধীরে এই উত্তর গিয়ে ঠেকেছে মেসি–ম্যারাডোনায়।

কীভাবে সেটা বলা যাক। বাঁ পায়ের ফুটবলারদের মধ্যে কে সালাহর কাছে সেরা—এ বিষয়ে তাঁর সামনে প্রথমে দুটি নাম উপস্থাপন করা হয়। রায়ান গিগস ও হামেস রদ্রিগেজ, যেখানে সালাহ বেছে নেন গিগসকে। রিয়াদ মাহরেজের সঙ্গে তুলনায়ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তিকে এগিয়ে রাখেন সালাহ।

তবে পরের ধাপে গিয়ে গিগস আর আনহেল দি মারিয়ার মধ্যে বেছে নেন দি মারিয়াকে। এরপর গ্যারেথ বেল, মেসুত ওজিল এবং আরিয়েন রোবেনের চেয়েও দি মারিয়াকেই এগিয়ে রাখেন। তবে  আঁতোয়ান গ্রিজমান ও দি মারিয়ার মধ্যে একজনকে বেছে নিতে গিয়ে সালাহ ভোট দেন গ্রিজমানকে।

লিওনেল মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

খুবিতে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিবেদন বিষয়ে আলোচনা সভা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গত ১৭ বছর ধরে আমরা আমাদের মনের ভাব, মতামত কিংবা আবেগ প্রকাশে বাধাগ্রস্ত ছিলাম। ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে নতুনভাবে ফিরে পেয়েছি।”

আরো পড়ুন:

গাজায় ‘গণহত্যার অর্থনীতি’ থেকে লাভবান মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ যত কোম্পানি

অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

তিনি শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন বলেন, “তরুণ প্রজন্ম জানে কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় এবং দমন-পীড়নের মুখেও নিজেদের কথা বলতে হয়। আমাদের এই দেশের পুনর্গঠনে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো নাজমুস সাদাত বলেন, “জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি একটি মূল্যবান নথি, যা ভবিষ্যতে দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে। জুলাই আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং জুলাইয়ের মর্যাদা অটুট রাখতে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের প্রধান পুনম চক্রবর্তী, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার এবং ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আইরিন আজহার ঊর্মি।

জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের মানবাধিকার কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মূল অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ইয়াছিনের ভাই মো. বাবু। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন এইচআরএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম।

এছাড়া অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের আয়মান আহাদ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল শাফিল, ব্যবসায়ী স্নিগ্ধা সুলতানা মুন্নি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসিব/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ