সেই স্কুলপড়ুয়া আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়েছেন। এর ভেতর কেউ আবার ঢুকে পড়েছেন চাকরিতেও। এখনও প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয়। একটি সমস্যার সমাধান অনেক হতে পারে। সেখান থেকে বাছাই করে যে কোনো একটি গ্রহণ করতে হয়। যেটি গ্রহণ করবেন সেটিই কিন্তু সিদ্ধান্ত। কোন পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে? চলুন জেনে নিই–
হুট করে: বিভিন্ন কারণে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেটি আসলে আগে থেকে বলে কয়ে আসে না। তাই সবসময় নিজের ভেতরে একটি প্রস্তুতি রাখতে হবে।
মোকাবিলা: ধরুন এবার চলে এলো সেই অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত– যখন আপনার নেওয়া লাগবে চূড়ান্ত সেই সিদ্ধান্ত এবং সেটি হুট করেই। তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? শুরুতে দেখুন যা যা ভেবে রেখেছিলেন, তার সঙ্গে কতটা কমন পড়ছে আগে থেকে বাছাই করে রাখা সেমি-সিদ্ধান্তগুলো। যদি দেখেন মোটামুটি মিলছে, তাহলে যে কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
কী কী উপকরণ আছে আপনার কাছে? দেখুন–
চিন্তাশক্তি: চিন্তাশক্তি খুব বড় একটি ব্যাপার। একটু ধীরস্থিরভাবে নিজের চিন্তাশক্তিকে শানিত করলে নিজের মাথা থেকে সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসতে বাধ্য।
বুদ্ধি ও আবেগ: বুদ্ধি ও আবেগ পরস্পবিরোধী। হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব আবেগকে দমন করতে।
প্রশ্নের জবাব: কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটি নিজেকে বিভিন্ন দিক থেকে প্রশ্ন করুন। চেষ্টা করুন সমস্যাটার ব্যাপারে যতগুলো সম্ভব প্রশ্ন তৈরি করতে।
পরামর্শ: ডিজিটাল এই সময়ে চাইলেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। ফলে আপনি এতক্ষণ যা ভাবলেন, সেগুলোর ব্যাপারে আরও স্থির সিদ্ধান্ত আসার জন্য অন্য একজন পরিচিত ও অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ আপনার অনেক কাজে দেবে।
লক্ষ্য স্থির: চিন্তা-ভাবনা, পরামর্শ, আবেগ দমন সবই হলো। এবার একটি লক্ষ্য স্থির করে ফেলুন, আপনি ওই দিকেই যাবেন। আপনি লক্ষ্যটা স্থির করলে দেখবেন, এক বা দুটো বিকল্প রাস্তাও আপনাকে খুঁজে রাখতে হবে। বিকল্পটিও হতে পারে সঠিক সিদ্ধান্ত।u
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, প্রতিবেশী গ্রেপ্তার
রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তার বাবা শনিবার মামলা করেছেন। এদিনই অভিযান চালিয়ে প্রতিবেশী একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ছাত্রী উপজেলার একটি গ্রামের দিনমজুরের মেয়ে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (৪২)। তিনি সম্পর্কে শিশুটির প্রতিবেশী চাচা।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন সে। সম্পর্কের চাচা মাসুদ রানা গত বছরের ৮ নভেম্বর চকলেট ও বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে তাকে পাশের আমবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে একই ঘটনা ঘটালে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সম্প্রতি মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন বুঝতে পারেন মা। শনিবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে তার শারীরিক পরীক্ষা করালে চিকিৎসক জানান, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পরিবারের সদস্যরা শিশুটির কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, প্রতিবেশী মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে ‘খারাপ কাজ’ করে আসছে। বিষয়টি জানার পর তার বাবা মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘মোর ছইলটা (মেয়েটা) একনা হাবাগোবা (অটিজম) টাইপের। মাসুদ রানা সুযোগ পাইয়া মোর ছইলটার সর্বনাশ করি দেছে। ইয়ার উপযুক্ত বিচার চাও।’
মা জানান, শিশুটির বয়স ১৩ বছর।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।