Samakal:
2025-06-26@19:27:51 GMT

সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে

Published: 10th, May 2025 GMT

সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে

সেই স্কুলপড়ুয়া আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়েছেন। এর ভেতর কেউ আবার ঢুকে পড়েছেন চাকরিতেও। এখনও প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয়। একটি সমস্যার সমাধান অনেক হতে পারে। সেখান থেকে বাছাই করে যে কোনো একটি গ্রহণ করতে হয়। যেটি গ্রহণ করবেন সেটিই কিন্তু সিদ্ধান্ত। কোন পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে? চলুন জেনে নিই–
হুট করে: বিভিন্ন কারণে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেটি আসলে আগে থেকে বলে কয়ে আসে না। তাই সবসময় নিজের ভেতরে একটি প্রস্তুতি রাখতে হবে। 
মোকাবিলা: ধরুন এবার চলে এলো সেই অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত– যখন আপনার নেওয়া লাগবে চূড়ান্ত সেই সিদ্ধান্ত এবং সেটি হুট করেই। তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? শুরুতে দেখুন যা যা ভেবে রেখেছিলেন, তার সঙ্গে কতটা কমন পড়ছে আগে থেকে বাছাই করে রাখা সেমি-সিদ্ধান্তগুলো। যদি দেখেন মোটামুটি মিলছে, তাহলে যে কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। 
কী কী উপকরণ আছে আপনার কাছে? দেখুন–
চিন্তাশক্তি: চিন্তাশক্তি খুব বড় একটি ব্যাপার। একটু ধীরস্থিরভাবে নিজের চিন্তাশক্তিকে শানিত করলে নিজের মাথা থেকে সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসতে বাধ্য।
বুদ্ধি ও আবেগ: বুদ্ধি ও আবেগ পরস্পবিরোধী। হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব আবেগকে দমন করতে। 
প্রশ্নের জবাব: কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটি নিজেকে বিভিন্ন দিক থেকে প্রশ্ন করুন। চেষ্টা করুন সমস্যাটার ব্যাপারে যতগুলো সম্ভব প্রশ্ন তৈরি করতে। 
পরামর্শ: ডিজিটাল এই সময়ে চাইলেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। ফলে আপনি এতক্ষণ যা ভাবলেন, সেগুলোর ব্যাপারে আরও স্থির সিদ্ধান্ত আসার জন্য অন্য একজন পরিচিত ও অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ আপনার অনেক কাজে দেবে। 
লক্ষ্য স্থির: চিন্তা-ভাবনা, পরামর্শ, আবেগ দমন সবই হলো। এবার একটি লক্ষ্য স্থির করে ফেলুন, আপনি ওই দিকেই যাবেন। আপনি লক্ষ্যটা স্থির করলে দেখবেন, এক বা দুটো বিকল্প রাস্তাও আপনাকে খুঁজে রাখতে হবে। বিকল্পটিও হতে পারে সঠিক সিদ্ধান্ত।u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর হ ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পাচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্যখাতে দীর্ঘদিনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন ২০২৫ সালের জন্য পুরস্কৃত করেছে দেশের শীর্ষ কৃষি উদ্যোক্তা আবদুল আউয়াল মিন্টুকে।

প্রতিষ্ঠানটি গত মঙ্গলবার রাতে এক ঘোষণায় ২৭ দেশের ৩৯ জনকে ‘টপ এগ্রি ফুড পাইওনিয়ার’ হিসেবে মনোনীত করে। সেই তালিকায় রয়েছেন লাল তীর সীডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিশিষ্ট রাজনীতিক আবদুল আউয়াল মিন্টু।

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বীজ, সবজি ও প্রাণিসম্পদ খাতসহ কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করছেন মিন্টু। ১৯৯৪ সালে মাত্র ২৫ একর জমির ওপর তিনি ‘লাল তীর সীডস লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ বেসরকারি কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। বর্তমানে এটি জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণে আঞ্চলিকভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে তিনিই প্রথম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন (আইএসটিএ স্বীকৃত) বীজ পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশে একমাত্র। মিন্টুর উদ্যোগে দেশে হাইব্রিড ও উন্নত বীজের ব্যবহার জনপ্রিয় হয় এবং সবজি উৎপাদনে বিপুল সাফল্য আসে।

উদ্যোক্তা হিসেবে সফলতার পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতি, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের কৃষি উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার গবেষণার মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো মহিষের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়। পাশাপাশি উন্নত জাতের গরু মোটাতাজাকরণে সীমেন প্রযুক্তির প্রচলনও তারই হাত ধরে শুরু হয়।

পুরস্কার প্রসঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আমি সবসময় কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় প্রযুক্তি ও গবেষণার মাধ্যমে অবদান রাখতে চাই। এই সম্মান আমাকে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর ৩৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২১–২৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস মইনসে আয়োজিত নরম্যান ই. বোরলাগ আন্তর্জাতিক সংলাপে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাশাল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ব এখন খাদ্য, পুষ্টি ও জলবায়ুভিত্তিক সংকটের সম্মুখীন। এই ৩৯ জন সম্মানিত ব্যক্তি সাহসী পরিবর্তনকারী, যারা বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন।’

এ বছর মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী, কৃষক, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও মানবতাবাদীরা। যারা বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ