Samakal:
2025-11-17@13:30:13 GMT

সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে

Published: 10th, May 2025 GMT

সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে

সেই স্কুলপড়ুয়া আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়েছেন। এর ভেতর কেউ আবার ঢুকে পড়েছেন চাকরিতেও। এখনও প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয়। একটি সমস্যার সমাধান অনেক হতে পারে। সেখান থেকে বাছাই করে যে কোনো একটি গ্রহণ করতে হয়। যেটি গ্রহণ করবেন সেটিই কিন্তু সিদ্ধান্ত। কোন পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে? চলুন জেনে নিই–
হুট করে: বিভিন্ন কারণে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেটি আসলে আগে থেকে বলে কয়ে আসে না। তাই সবসময় নিজের ভেতরে একটি প্রস্তুতি রাখতে হবে। 
মোকাবিলা: ধরুন এবার চলে এলো সেই অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত– যখন আপনার নেওয়া লাগবে চূড়ান্ত সেই সিদ্ধান্ত এবং সেটি হুট করেই। তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? শুরুতে দেখুন যা যা ভেবে রেখেছিলেন, তার সঙ্গে কতটা কমন পড়ছে আগে থেকে বাছাই করে রাখা সেমি-সিদ্ধান্তগুলো। যদি দেখেন মোটামুটি মিলছে, তাহলে যে কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। 
কী কী উপকরণ আছে আপনার কাছে? দেখুন–
চিন্তাশক্তি: চিন্তাশক্তি খুব বড় একটি ব্যাপার। একটু ধীরস্থিরভাবে নিজের চিন্তাশক্তিকে শানিত করলে নিজের মাথা থেকে সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসতে বাধ্য।
বুদ্ধি ও আবেগ: বুদ্ধি ও আবেগ পরস্পবিরোধী। হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব আবেগকে দমন করতে। 
প্রশ্নের জবাব: কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটি নিজেকে বিভিন্ন দিক থেকে প্রশ্ন করুন। চেষ্টা করুন সমস্যাটার ব্যাপারে যতগুলো সম্ভব প্রশ্ন তৈরি করতে। 
পরামর্শ: ডিজিটাল এই সময়ে চাইলেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। ফলে আপনি এতক্ষণ যা ভাবলেন, সেগুলোর ব্যাপারে আরও স্থির সিদ্ধান্ত আসার জন্য অন্য একজন পরিচিত ও অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ আপনার অনেক কাজে দেবে। 
লক্ষ্য স্থির: চিন্তা-ভাবনা, পরামর্শ, আবেগ দমন সবই হলো। এবার একটি লক্ষ্য স্থির করে ফেলুন, আপনি ওই দিকেই যাবেন। আপনি লক্ষ্যটা স্থির করলে দেখবেন, এক বা দুটো বিকল্প রাস্তাও আপনাকে খুঁজে রাখতে হবে। বিকল্পটিও হতে পারে সঠিক সিদ্ধান্ত।u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর হ ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‍মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান। 

তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত

ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।

তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।

দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।

অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ