শেয়ারবাজারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা
Published: 11th, May 2025 GMT
দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বাজারকে শক্তিশালী করতে করণীয় বিষয়ে ৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় শেয়ারবাজার নিয়ে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—১. বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী যেসব বিদেশি বা বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের মালিকানা রয়েছে, সেসব কোম্পানিকে দ্রুত বাজারে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ২.
গত আগস্টে অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর শেয়ারবাজার নিয়ে এটিই প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ৫টি নির্দেশনার কথা সাংবাদিকদের অবহিত করেন। আজ দুপুরের অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র গ রহণ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম রেজাউল করিম। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ফোর সিজন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আদালত সূত্র জানায়, ১৬ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে তখন পিলখানায় নিহত হন ৭৪ জন। সেদিন পিলখানায় থাকা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হয়েছেন।
পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।