আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ তৈরিকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন
Published: 11th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ তৈরির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ রোববার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তাঁদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুনসন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি ও সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ৪ ঘণ্টা আগেগণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ১৫ বছর ধরে গুম-খুন-হত্যা, জনগণের কণ্ঠরোধ, ভোটাধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সর্বশেষ ২০২৪–এর জুলাই–আগস্টে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এসব অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিচারের পাশাপাশি দল হিসেবেও আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা জরুরি ছিল। কেননা, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঠিক হবে।
আরও পড়ুনট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দিতে পারবেন, অধ্যাদেশ জারি, যথোপযোগী বলছে প্রসিকিউশন ৭ ঘণ্টা আগেবিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে, যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
আরও পড়ুনদল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতের দাবি গণসংহতির১০ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব চ র র আওত অপর ধ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
পাবনার ঈশ্বরদীতে অটোরিকশা চুরির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ এবং একজনকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে শহরের আলহাজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সন্ধ্যার পর আলহাজ ক্যাম্প এলাকায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. তারেক ও মো. সাইদের মধ্যে চুরি করে আনা অটোরিকশা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান একই এলাকার মো. মাসুদ, মো. রিপন ও মো. রনি। এক পর্যায়ে মাসুদ, রিপন ও রনি লাঠি দিয়ে তারেক ও সাইদকে মারধর করেন। তারা তারেকের মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হামলার ঘটনার জেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলহাজ মোড়ে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে মাসুদ, রিপন, রনিসহ অভিযুক্তদের ধাওয়া দেয়। এ সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।