মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি জাবি ছাত্রদলের
Published: 12th, May 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় অপরিকল্পিত সুউচ্চ ভবন নির্মাণ না করার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (১২ মে) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীক স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর জমা দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকে বারবার অবহিত করার পরো উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ক্যাম্পাসে যত্রতত্রভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে অতিথি পাখির আবাস ও যাতায়াতের পথ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্পে কোনো সুসংগঠিত ও পরিবেশবান্ধব মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করা হচ্ছে না।
আরো পড়ুন:
জাবির ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে বিষাক্ত পোকা
৪০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল জাবি শাখা ছাত্রশিবির
ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বলেন, অতিথি পাখিদের স্বাভাবিক চলাচলের পথ রক্ষায় একটি গ্রহণযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত মাস্টারপ্ল্যান জরুরি। এমন মাস্টারপ্ল্যানে যেন বনাঞ্চল, জলাশয় ও পাখিদের নিরাপদ যাতায়াত পথের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়, তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। পরিকল্পনা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সব নতুন সুউচ্চ ভবন নির্মাণ বন্ধ রাখতে হবে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, আশির দশক থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে। অতিথি পাখির সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হচ্ছে, তা শুধু ছাত্রদল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের জন্যই হতাশাজনক।
জাবি ক্যাম্পাস অতিথি পাখিদের পরিচিত একটি আবাসস্থল। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এখানে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ভবন ন র ম ণ স ম রকল প ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
চল্লিশের পর তারুণ্য ধরে রাখতে যে পুষ্টি দরকার
বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকেই শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। হরমোনের ওঠানামা, শক্তির ঘাটতি, হাড়ে ব্যথা, কিংবা মনোযোগ কমে যাওয়ার মতো বিষয় ঘটে। বয়স বাড়লেও প্রাণশক্তি ধরে রাখা সম্ভব, যদি আমরা প্রতিদিনের খাবার নিয়ে একটু সচেতন হই। পুষ্টি শুধু রোগপ্রতিরোধে নয়, শরীরের প্রতিটি কোষের পুনর্গঠন, মানসিক ভারসাম্য ও তারুণ্য ধরে রাখারও মূল চাবিকাঠি।
অস্থিসন্ধি ও হাড়ের যত্নে সঠিক খাবার
ইলিশ, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সামুদ্রিক মাছ, ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ।
দুধ, টক দই, পনির, ছানা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জোগায়।
হলুদ ও আদা রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার করলে প্রদাহ কমে।
তিল, চিনাবাদাম, বাদাম, চিয়া সিড, তিসির বীজ অস্থিসন্ধিতে ভালো ফ্যাট সরবরাহ করে।
পালংশাক, লালশাক, কলমিশাক, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়ার পাতা হাড়ের জন্য চমৎকার।
ডিমে প্রোটিন ও ভিটামিন ডি উভয়ই আছে। তাজা মাছের তেল বা শর্ষের তেল বেশ উপকারী।
খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার