জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় অপরিকল্পিত সুউচ্চ ভবন নির্মাণ না করার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। 

সোমবার (১২ মে) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীক স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর জমা দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকে বারবার অবহিত করার পরো উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ক্যাম্পাসে যত্রতত্রভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে অতিথি পাখির আবাস ও যাতায়াতের পথ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্পে কোনো সুসংগঠিত ও পরিবেশবান্ধব মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করা হচ্ছে না।

আরো পড়ুন:

জাবির ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে বিষাক্ত পোকা

৪০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল জাবি শাখা ছাত্রশিবির

ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বলেন, অতিথি পাখিদের স্বাভাবিক চলাচলের পথ রক্ষায় একটি গ্রহণযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত মাস্টারপ্ল্যান জরুরি। এমন মাস্টারপ্ল্যানে যেন বনাঞ্চল, জলাশয় ও পাখিদের নিরাপদ যাতায়াত পথের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়, তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। পরিকল্পনা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সব নতুন সুউচ্চ ভবন নির্মাণ বন্ধ রাখতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, আশির দশক থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে। অতিথি পাখির সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হচ্ছে, তা শুধু ছাত্রদল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের জন্যই হতাশাজনক।

জাবি ক্যাম্পাস অতিথি পাখিদের পরিচিত একটি আবাসস্থল। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এখানে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ভবন ন র ম ণ স ম রকল প ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ