টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেওয়া বই ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন এক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এসব বই বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। বই জব্দের পর থেকে ওই প্রধান শিক্ষক পলাতক আছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের আগদিঘুলিয়া এম বোরহান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসব বই জব্দ করা হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.

মজিবর রহমান সরকারি বই ২০ টাকা কেজি দরে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। ক্রেতা ট্রাকে করে বই নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) খবর দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওই বিদ্যালয়ে এসে বইসহ ট্রাকটি জব্দ করেন। বইগুলো মির্জাপুর নেওয়া হচ্ছিল।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহাম্মেদ জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষের সরকারি বইসহ একটি ট্রাক জব্দ করে থানায় পাঠানো হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহাবুর রহমান বলেছেন, “বই বিক্রির বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাব।”

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বইসহ ট্রাক জব্দ করে থানায় পাঠিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি

চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।

গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ