Samakal:
2025-09-18@02:59:42 GMT

স্বপ্ন পূরণের পথে ফাহমিদুল

Published: 17th, May 2025 GMT

স্বপ্ন পূরণের পথে ফাহমিদুল

ফাহমিদুল ইসলাম। ইতালির পেশাদার ফুটবল ক্লাব ওলবিয়া ক্যালসিওতে খেলা এই তরুণ আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আবারও বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন। ৪ জুন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দল। মূল ক্যাম্প শুরু হবে ৩১ মে থেকে। জাতীয় দলের জার্সি এখনও গায়ে না জড়ালেও দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিচিত এই তরুণকে নিয়ে লিখেছেন মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ

জাতীয় দলের জার্সি এখনও গায়ে না জড়ালেও ইতোমধ্যে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন ইতালিপ্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম। ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে গত মার্চে ক্যাম্পে ডাক পেলেও চূড়ান্ত দলে জায়গা হয়নি তাঁর। তখন তাঁকে বাদ দেওয়ায় উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। এবার সুখবর, আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আবারও বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন ফাহমিদুল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর ক্লাব ওলবিয়া ক্যালসিও, যা ইতালির পেশাদার ফুটবল ক্লাব। ক্লাবটি নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ফাহমিদুলকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জুন। এর আগে ৪ জুন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দল। মূল ক্যাম্প শুরু হবে ৩১ মে থেকে।
সৌদি আরবে ক্যাম্পে ডাক পেয়েও.

..
গত ২৬ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সৌদি আরবে ক্যাম্পে ডাকলেও পরিকল্পনায় নেই বলে ফাহমিদুলকে বাদ দিয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তখন তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এবার তিনি বলেন, শুধু ফাহমিদুল নন, শমিত সোমকেও জুনের ম্যাচে রাখার সব চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্নও করছে ফেডারেশন। ন্যাশনাল টিমস ম্যানেজমেন্ট কমিটির মিটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা তোপের মুখে পড়েন জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির! ২৬ মার্চ শিলংয়ে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশের জেতা ম্যাচ ছিল বলে সবার অভিমত ছিল। সেখানে কোচের দল নির্বাচনে ভুল ছিল বলে অনেকেই মনে করেন। কোচও তাঁর যুক্তি তুলে ধরেন। তবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত কোচ হয়তো বুঝতে পারেন দলে দরকার ফাহমিদুলকে! 
যাত্রা শেষ হয়নি, একদিন লাল-সবুজ 
জার্সিতে মাঠে নামব
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে প্রাথমিক দলে জায়গা পেয়ে সৌদি আরবের অনুশীলন ক্যাম্পে থেকেও চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা না পেয়ে ফাহমিদুলকে ফিরে যেতে হয় ইতালিতে। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে নিজের ফেসবুকে এক আবেগঘন বার্তায় ফাহমিদুল জানান, এখনও থেমে যায়নি তাঁর স্বপ্ন, ভবিষ্যতে লাল-সবুজ জার্সিতে দেশের হয়ে মাঠে নামতে চান তিনি। ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাব ওলবিয়া ক্যালসিও এফসিতে খেলা ১৮ বছর বয়সী এই তরুণ ফরোয়ার্ড লিখেন–‘আমি ফাহমিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সকল মানুষের ভালোবাসা, সমর্থন ও উৎসাহের জন্য সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। আমার প্রতি আপনাদের অটল বিশ্বাস আমার যাত্রাপথে বড় ছাপ ফেলেছে এবং যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সবাইকে মনের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাই।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন স্পষ্টভাবে তুলে ধরে ফাহমিদুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল দলে খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম আমি। দুর্ভাগ্যবশত এবার সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোয়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি, যা হয় সেটি কোনো না কোনো কারণে হয় এবং আমার পথচলা কোনোভাবেই শেষ হয়ে যায়নি। সৃষ্টিকর্তা যদি চান, একদিন আমি লাল-সবুজের জার্সি পরে মাঠে নামব, দেশ ও সমর্থকদের জন্য আমার সবকিছু উজাড় করে দেব। ততদিন পর্যন্ত, সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
একটু পেছনে ফিরে...
বাংলাদেশের ফুটবলে প্রথম প্রবাসী হিসেবে আবির্ভাব ঘটে জামাল ভূঁইয়ার। ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলা ডেনমার্কপ্রবাসী এ মিডফিল্ডার এখন দলের অধিনায়কও। তাঁর পথ ধরে লাল-সবুজের জার্সিতে ২০২১ সালে অভিষেক ঘটে ফিনল্যান্ডপ্রবাসী তারিক রায়হান কাজীর। গত বছর তৃতীয় প্রবাসী হিসেবে বাংলাদেশ দল সুযোগ মেলে কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত সৈয়দ শাহ কাজেমের। তিনি হলেন সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহর ছেলে। কাজেমের জন্ম বাংলাদেশে হলেও বেড়ে উঠেছেন কানাডায়। তাঁকে আনতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বাফুফেকে। এর পেছনে বড় কারণ, কাজেমের জন্ম বাংলাদেশে আর কানাডার হয়ে যুব দলে না খেলা। ২০২৪ সালের ১১ জুন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ঘটে এ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের। তবে হামজা, শমিতের পর বাংলাদেশ দলে এখন বড় চমক ফাহমিদুল ইসলাম। 
স্বপ্ন পূরণের পথে
ঘরের মাঠে অভিষেকের আরও এক ধাপ এগিয়েছেন ইতালিপ্রবাসী তরুণ ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম। নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। এবার তাঁর সামনে নতুন করে সুযোগ ­এসেছে। তিনি চূড়ান্ত একাদশে নিশ্চয় জায়গা করে নিজেকে তুলে ধরবেন। সেটিই এখন দেখার বিষয়! 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ল সব জ ল দ শ দল জ ত য় দল র ফ টবল প রব স র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত