দীর্ঘ বিরতির পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) নতুন দলের হয়ে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের। হুট করে ডাক পেয়ে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে দলটির লিগ পর্বের শেষ ম্যাচেই একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনি।

সাকিবকে শেষবার মাঠে দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে। এরপর বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের কারণে বেশ কিছুদিন ছিলেন মাঠের বাইরে। এর আগে পিএসএলে অন্যান্য দলের হয়ে খেলা হলেও লাহোরের হয়ে এবারই প্রথম মাঠে নামলেন এই অলরাউন্ডার। একই দলের হয়ে এই আসরে খেলা রিশাদ হোসেন অবশ্য এখন দলের সাথে নেই। জাতীয় দলের সাথে তিনি রয়েছেন আরব আমিরাত সফরে।

রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক বাবর আজম। ম্যাচটি নেমে এসেছে ১৩ ওভারে। লাহোর কালান্দার্স প্রথমে ব্যাট করছে।

ম্যাচটিকে সামনে রেখে লাহোর তিনটি পরিবর্তন এনেছে একাদশে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে দলে থাকা ড্যারিল মিচেল পিএসএল থেকে সরে দাঁড়ান, তার জায়গায় নিয়েছেন সাকিবকে। স্যাম বিলিংসের বদলে এসেছেন কুশল পেরেরা এবং অতিরিক্ত পেসার হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে সালমান মির্জাকে। অন্যদিকে, পেশোয়ার জালমিও এনেছে দুটি পরিবর্তন। টম কোহলার ক্যাডমোরের বদলে খেলছেন ড্যানিয়েল সামস এবং আরিফ ইয়াকুবের জায়গায় দলে এসেছেন আবদুল সামাদ।

এই ম্যাচটি দুই দলেরই গ্রুপ পর্বের শেষ লড়াই। প্লে-অফে জায়গা করে নিতে হলে জয়ের বিকল্প নেই কারো জন্যই। জয়ী দলই নিশ্চিত করবে শেষ চারের টিকিট।

লাহোর কালান্দার্স একাদশ: ফখর জামান, মোহাম্মদ নাইম, আব্দুল্লাহ শফিক, কুশল পেরেরা, সিকান্দার রাজা, সাকিব আল হাসান, আসিফ আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি, সালমান মির্জা, জামান খান, হারিস রউফ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ