বাপ কা বেটা: পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদো জুনিয়রের প্রথম ‘সিউ’
Published: 19th, May 2025 GMT
বলটা জালে জড়িয়েই দৌড় শুরু। লক্ষ্য কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে যাওয়া। পেছন পেছন ছুটল এক সতীর্থ। গোলদাতাকে কেন্দ্র করে সচরাচর যে ধরনের উদ্যাপন হয়, তেমনই আর কি!
কিন্তু গোলদাতা তার সতীর্থকে কাছে আসতে দিতে রাজি নয়। হাত ইশারায় বোঝাল, পেছনেই থাকো। কেন, সেটা বোঝা গেল দুই সেকেন্ডের মধ্যেই।
কিছুটা সামনে এগিয়ে সে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে শূন্যে লাফিয়ে শরীর মুচড়ে উল্টো করে মাটিতে নামার সময় আড়াআড়িভাবে হাত দুটি শরীরের দুপাশে নামিয়ে আনল। দৃশ্যটা ফুটবলবিশ্ব খুব ভালো করে চেনে। ‘সিউ’ উদ্যাপন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ট্রেডমার্ক হয়ে ওঠা এই ‘সিউ’ উদ্যাপন ফিরিয়ে আনা খেলোয়াড়টি তাঁরই বড় ছেলে রোনালদো জুনিয়র।
রোববার ক্রোয়েশিয়ায় লাতকো মারকোভিচ ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রোনালদো জুনিয়রের এই উদ্যাপনের ভিডিও পোস্ট করে পর্তুগাল জাতীয় দলের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘পর্তুগালের হয়ে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের প্রথম সিউউউ।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ ‘মেকহিস্টোরি’।
পরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রোনালদো জুনিয়রের ‘সিউ’ উদ্যাপনের ছবি দিয়ে বানানো একটি কার্ডও পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘লাইক ফাদার, লাইক সন।’ সহজ ভাষায় বললে ‘বাপ কা বেটা’। রোনালদো জুনিয়রকে নিয়ে ‘বাপ কা বেটা’ বন্দনা চলছে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিশেষ করে রোনালদো সমর্থকদের মধ্যে।
রোনালদো জুনিয়রের বয়স ১৪ বছর। আল নাসর একাডেমিতে খেলা এই উইঙ্গার এ মাসেই প্রথমবার পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পেয়েছে। ক্রোয়েশিয়া তাদের সাবেক ফুটবলার, কোচ ও সংগঠক লাতকো মারকোভিচের নামে প্রতি বছর অনূর্ধ্ব-১৫ বা অনূর্ধ্ব-১৬ দল নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। আট দল নিয়ে আয়োজিত এ বছরের আসরে রোনালদো জুনিয়রের পর্তুগাল অভিষেক হয় ১৩ মে জাপানের বিপক্ষে বদলি নেমে।
গতকাল ছিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পর্তুগাল জিতেছে ৩-২ গোলে। আর এই জয়ে ১৩তম মিনিটে বাঁ পায়ের ফিনিশিংয়ে প্রথম গোল করে রোনালদো জুনিয়র। বাবার মতো ৭ নম্বর জার্সি পরা জুনিয়র এরপর ‘সিউ’ উদ্যাপনে’ও কিংবদন্তি তারকাকে স্মরণ করে। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে আরেকটি গোল করে রোনালদো জুনিয়র।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখনো অবসর না নেওয়ায় অনেক সমর্থকই বাপ-বেটা একসঙ্গে খেলবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদোর ১৮ বছর বয়সে পর্তুগাল জাতীয় দলে অভিষেক হয়। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ১৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন ৪০ বছর বয়সী রোনালদো। সম্ভাবনা আছে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলারও। তত দিনে রোনালদো জুনিয়র আরও পরিণতই হয়ে ওঠার কথা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ত গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী