ইশরাক হোসেনকে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার ঘোষাণা না আসলে ঢাকা অচলের ঘোষণা দিয়েছে তার সমর্থকরা। একইসঙ্গে আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে আবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ঢাকাবাসীর পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাবেক সচিব মশিউর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে ৬ষ্ঠ দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই কর্মসচি ঘোষণা দেন তিনি। 

এর আগে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সামনের সড়কে বসে অবরোধ করেছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান বাজানো হচ্ছে।

গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। সিটি করপোরেশন নগরবাসীকে ২৮ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এসব নাগরিক সেবা এখন বন্ধ রয়েছে।

.

..

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নগর ভবন ইশর ক হ স ন নগর ভবন ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পত্তি বিক্রি করে টিএনজেডের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা

টিএনজেড লিমিটেড ও মাহমুদ গ্রুপের মালিকানাধীন জমি, বাড়ি, কারখানা ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, টিএনজেড ও মাহমুদ গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে আজ এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য যেসব কারখানার মালিকের কাছে শ্রমিকদের বকেয়া রয়েছে, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত করে বকেয়া পরিশোধ করা হবে। উপদেষ্টা অন্য মালিকদের দ্রুত বকেয়া পরিশোধেরও আহ্বান জানান। অন্যথায় একইভাবে তাঁদের জমি, বাড়ি, কারখানা ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে তাঁদের সব শ্রমিকের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলেও উপদেষ্টা জানান।

উপদেষ্টা আরও বলেন, টিএনজেড ও মাহমুদ গ্রুপের মালিকদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডার্ড গ্রুপ, জেনারেশন নেক্সট, রোয়ারর ফ্যাশনের মালিকদের দেশে ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিকেএমইএর সভাপতি, বিজিএমইএ প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ