আবহাওয়ায় বদলে গেল আইপিএলের সূচি, ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তন
Published: 20th, May 2025 GMT
সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর মাঠে ফিরেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তবে আবহাওয়ার রোষ থেকে রক্ষা পেল না টুর্নামেন্টটি। প্রবল বর্ষণ ও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ভেন্যু হঠাৎ করেই বদলে দিতে বাধ্য হলো আয়োজকরা। সবচেয়ে বড় চমক—আইপিএলের ফাইনাল আর হচ্ছে না কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে। বরং শেষ লড়াই অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে একাধিক ম্যাচ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল—২৩ মে’র আগে দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ এলাকায় থাকবে ঝোড়ো থেকে অতি ঝোড়ো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তারই প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২৩ মে’র ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। কিন্তু সেটি এখন হবে লক্ষ্ণৌর একানা স্টেডিয়ামে। এর ফলে কোহলিদের শেষ দুটি লিগ ম্যাচ হায়দরাবাদ ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে, দু’টিই তাদের ‘হোম’ ভেন্যুর বাইরে খেলতে হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
পিএসএল যাত্রার আগে টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ‘প্রশ্ন রেখে গেলেন’ মিরাজ
শিবলির সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি গড়ার পথে ইমার্জিং দল
শুধু লিগ নয়, প্লে-অফের ভেন্যুতেও এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। নতুন সূচি অনুযায়ী:
২৯ মে: প্রথম কোয়ালিফায়ার– মুল্লানপুর, চণ্ডিগড়।
৩০ মে: এলিমিনেটর ম্যাচ– মুল্লানপুর, চণ্ডিগড়।
১ জুন: দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার– নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমেদাবাদ।
ফাইনাল: নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম– আহমেদাবাদ।
প্রথমিক পরিকল্পনায় এই চারটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল কলকাতা ও হায়দরাবাদে। কিন্তু টানা বৃষ্টির আশঙ্কায় সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।
বেঙ্গালুরুর সর্বশেষ হোম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। সেই ম্যাচ থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা আইপিএলের গতি ব্যাহত করতে পারে। একাধিক স্টেডিয়ামে পানি জমে থাকা এবং মাঠ প্রস্তুতির অভাবে নিরাপদ বিকল্প ভেন্যু বেছে নেয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য তৈরি হচ্ছে ‘রাজকীয় চেয়ার’
সেগুন কাঠ দিয়ে বানানো হচ্ছে চারটি চেয়ার। এর একটি উচ্চতার কারণে যে কারও নজর কাড়ে। ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার সেই চেয়ারজুড়ে নানা ধরনের কারুকাজ। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দেওয়ার উদ্দেশ্যে চেয়ারটি বানানো হচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গ্রামের একটি আসবাব তৈরির দোকানে। বিএনপির স্থানীয় এক নেতা চেয়ারটি তৈরি করতে দিয়েছেন।
বড় চেয়ারটির সঙ্গে অপর যে তিনটি চেয়ার তৈরি হচ্ছে, এর প্রতিটির উচ্চতা আড়াই ফুটের মতো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে উপহার দেওয়ার উদ্দেশ্যে বানানো হচ্ছে এ তিনটি চেয়ার। এসব চেয়ার যিনি তৈরি করতে দিয়েছেন, তাঁর নাম জয়নাল আবেদীন। তিনি স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
সম্প্রতি থাইংখালীর আসবাব তৈরির দোকানটিতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার চারটি তৈরিতে কারিগরেরা কাজ করছেন। তাঁরা জানান, বড় চেয়ারটি তৈরিতে কাঠ লেগেছে ১৮ ফুট। প্রতি ফুট কাঠের দাম পাঁচ হাজার টাকা। কাঠের মূল্যসহ চেয়ারটি তৈরিতে খরচ হচ্ছে চার লাখ টাকার বেশি। অন্যদিকে আড়াই ফুট উচ্চতার তিনটি চেয়ারের প্রতিটিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা করে। এসব চেয়ারও সেগুন কাঠের। সাত কারিগর চেয়ার তৈরিতে কাজ করেছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা তিন কারিগর চেয়ারের কারুকাজ করছেন। কারিগরেরা বলেন, চেয়ারের কারুকাজ করতেই প্রায় ছয় মাস সময় লেগে যাচ্ছে। কিছুদিন পর রঙের কাজ শুরু হবে।
তখন আমি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার নেত্রীসহ দলের কয়েকজন প্রিয় নেতাকে রাজকীয় চেয়ার বানিয়ে উপহার দেব। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে আমার দোকান বন্ধ হয়ে গেলেও সেই সিদ্ধান্তের কথা ভুলিনি।জয়নাল আবেদীন, সভাপতি, পালংখালী ওয়ার্ড, উখিয়াএলাকায় কথা হয় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি জানান, থাইংখালী বাজারে তাঁর একটি আসবাব তৈরির দোকান ছিল। সেটি ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে যায়। দোকানটি চালু থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দেখতে উখিয়ায় আসেন। এ সময় জয়নাল তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তখনই খালেদা জিয়াকে একটি চেয়ার উপহার দেওয়ার কথা মাথায় আসে।
জয়নাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘তখন আমি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার নেত্রীসহ দলের কয়েকজন প্রিয় নেতাকে রাজকীয় চেয়ার বানিয়ে উপহার দেব। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে আমার দোকান বন্ধ হয়ে গেলেও সেই সিদ্ধান্তের কথা ভুলিনি।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার নেতাকে উপহার দেওয়ার জন্য বানানো হচ্ছে এই চারটি চেয়ার। আগামী আগস্ট মাসে চেয়ারগুলো ট্রাকে তুলে ঢাকার উদ্দেশে পাঠাতে চান জয়নাল। সম্প্রতি তোলা