সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর মাঠে ফিরেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তবে আবহাওয়ার রোষ থেকে রক্ষা পেল না টুর্নামেন্টটি। প্রবল বর্ষণ ও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ভেন্যু হঠাৎ করেই বদলে দিতে বাধ্য হলো আয়োজকরা। সবচেয়ে বড় চমক—আইপিএলের ফাইনাল আর হচ্ছে না কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে। বরং শেষ লড়াই অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে একাধিক ম্যাচ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল—২৩ মে’র আগে দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ এলাকায় থাকবে ঝোড়ো থেকে অতি ঝোড়ো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তারই প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

২৩ মে’র ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। কিন্তু সেটি এখন হবে লক্ষ্ণৌর একানা স্টেডিয়ামে। এর ফলে কোহলিদের শেষ দুটি লিগ ম্যাচ হায়দরাবাদ ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে, দু’টিই তাদের ‘হোম’ ভেন্যুর বাইরে খেলতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

পিএসএল যাত্রার আগে টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ‘প্রশ্ন রেখে গেলেন’ মিরাজ

শিবলির সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি গড়ার পথে ইমার্জিং দল

শুধু লিগ নয়, প্লে-অফের ভেন্যুতেও এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। নতুন সূচি অনুযায়ী:
২৯ মে: প্রথম কোয়ালিফায়ার– মুল্লানপুর, চণ্ডিগড়।
৩০ মে: এলিমিনেটর ম্যাচ– মুল্লানপুর, চণ্ডিগড়।
১ জুন: দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার– নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমেদাবাদ।
ফাইনাল: নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম– আহমেদাবাদ।

প্রথমিক পরিকল্পনায় এই চারটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল কলকাতা ও হায়দরাবাদে। কিন্তু টানা বৃষ্টির আশঙ্কায় সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।

বেঙ্গালুরুর সর্বশেষ হোম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। সেই ম্যাচ থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা আইপিএলের গতি ব্যাহত করতে পারে। একাধিক স্টেডিয়ামে পানি জমে থাকা এবং মাঠ প্রস্তুতির অভাবে নিরাপদ বিকল্প ভেন্যু বেছে নেয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ