কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ চিরতরে বাতিল চায় টিআইবি
Published: 20th, May 2025 GMT
কালো টাকা সাদা করার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব সুযোগ অধ্যাদেশের মাধ্যমে চিরতরে বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি অন্যান্য দুর্নীতি-সহায়ক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বিধান অনতিবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবি মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশে শুরু থেকেই বিভিন্ন সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ২১ বার এ সুযোগ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সরকারের আমলে বারবার দেওয়া এ অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক সুবিধা সৎকরদাতাদের নিরুৎসাহিত করে, দুর্নীতিকে পুরস্কৃত করে এবং দুর্নীতির বিস্তার ঘটায়। গত অর্থবছরে কর্তৃত্ববাদী সরকারের সর্বশেষ বাজেটেও বিনা প্রশ্নে তা বহাল ছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৫ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল ঘোষণা করে। এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.
বিবৃতিতে তিনটি বিধানের উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ প্রদর্শন করা যায়। স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস এবং ভূমিতে আগে বিনিয়োগ ছিল, কিন্তু তা অপ্রদর্শিত রয়ে গেছে– এমন হলে প্রতি বর্গমিটারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর পরিশোধ করে তা রিটার্নে দেখানোর বিধান রয়েছে। এ ছাড়া আগে রিটার্ন দাখিল না করলে বা রিটার্ন দাখিল করে থাকলেও কোনো আয় রিটার্নে প্রদর্শন না করলে ওই অপ্রদর্শিত আয়ের ওপর নিয়মিত হারে কর দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে তা বৈধ করার সুযোগ আছে। তিনটি ক্ষেত্রেই বৈধ সূত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য নিশ্চিতের বাধ্যবাধকতা নেই। এ কারণে অপ্রদর্শিত আয়ের নামে কালো টাকার বৈধতার সুযোগ নেওয়া হয়, যা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে তিন নম্বর সুপারিশেও বৈধ উৎসবিহীন আয়কে বৈধতা দেওয়ার যে কোনো রাষ্ট্রীয় চর্চা চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়। অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বারবার দেওয়া হলেও সরকারের রাজস্ব আহরণ কখনোই সেভাবে বাড়েনি। যতটুকু হয়েছে, তার জন্য নৈতিকতার বিসর্জন অগ্রহণযোগ্য। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে দৃষ্টান্ত স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে এসব ধারাসহ কালো টাকা সাদা করার সকল প্রকার সুযোগ চিরতরে বাতিল করা হবে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে টিআইবি অর্থ উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে এবং এর ইতিবাচক প্রতিফলন আশা করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট আইব কর র স য গ সরক র র ট আইব চ রতর
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে অভিজাত ও নানন্দিক হোটেল ‘গ্রেস কক্স’
কক্সবাজারে অভিজাত ও নান্দনিক হোটেল হিসেবে এক বিশ্বস্ত ও আস্থার নামে পরিণত হচ্ছে ‘গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল’। তিন তারকা মানের প্রকৃত সেবা দিয়ে আসছে হোটেলটি। কক্সবাজারে ঘুরতে গেলে ভ্রমণ পিপাসুরা এখন বেছে নেন গ্রেস কক্স-কে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “গ্রেস কক্স কেবল কক্সবাজারে নয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী, অভিজাত ও নান্দনিক থ্রি স্টার মানের একটি হোটেল। আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোনো আপস করি না।”
তিনি বলেন, “কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। বিশাল সমুদ্র। পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত। যতই মন খারাপ থাকুক, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। সঙ্গে প্রিয়জন, পরিবার পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুজন থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝুট-ঝামেলামুক্ত। এজন্যই কক্সবাজারে আছে থ্রি স্টার হোটেল গ্রেস কক্স। সাগরের বিশালতার টানেই হোক কিংবা অবকাশ যাপন, কক্সবাজার সবসময় মুখর থাকে পর্যটকদের অভিবাদন জানাতে। বিপুল পর্যটকদের রাত্রীযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা।”
তিনি আরো বলেন, “অনেক সময় দীর্ঘ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে আছে নানা সমস্যা। কিন্তু গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম। আমরা দীর্ঘদিন ধরে একই রকমভাবে গ্রাহকদের তিন তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছি। গেস্টদের নিরাপত্তা ও স্মার্ট সেবায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রেস কক্স হোটেলে রয়েছে অসাধারণ সব প্যাকেজ ও আকর্ষণীয় নানা অফার।”
তিনি বলেন, “আমরা গেস্টদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে আপস করি না। আমাদের প্রতিটি ইউনিট শতভাগ কর্পোরেট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও আন্তরিক। আমাদের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম ওয়েলকাম ড্রিংকস, ব্রেকফাস্ট (বুফে), এসি ও গিজার ফ্যাসিলিটি, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইন রুম মিনারেল ওয়াটার, কফি, চা, সুবিশাল সুইমিং পুল, নিজস্ব রেস্টুরেন্টে মজাদার খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস ও অন্যান্য সুবিধা। যা আপনি এবং আপনার ভ্রমণকে আবাসনের ক্ষেত্রে করবে নিরাপদ, আনন্দদায়ক ও আরো মনোমুগ্ধকর।”
গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল কলাতলি রোডে অবস্থিত।
ঢাকা/চিশতী/ফিরোজ