নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুন্দশী-মল্লিকপুর-পাঁচুড়িয়া আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সালমান মল্লিক (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার মা চায়না বেগম ও ভাবি তাহেরা খানম। 

বুধবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মল্লিকপুর গ্রামের ডাক্তার আজিজুর রহমান মোয়াজের বাড়ির সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সালমান মল্লিক দোয়া-মল্লিকপুর গ্রামের মৃত শহীদ মল্লিকের ছেলে। সে মঙ্গলহাটা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

পরিবার ও পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সালমান তার মা চায়না বেগম ও ভাবি তাহেরা খানমকে নিয়ে লোহাগড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি রওনা হয়। পথিমধ্যে মল্লিকপুর ডাক্তার আজিজুর রহমান মোয়াজের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি রোড রোলারে সজোরে আঘাত হানে। পরে স্থানীয় লাকজন আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার বেলাল সানী সালমানকে মৃত ঘোষণা করেন। 

অন্যদিকে আহত চায়না বেগম ও তাহেরা খানমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শরিফুল ইসলাম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত সালমানের মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/শরিফুল/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল হ গড়

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ