শুরু হচ্ছে কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল
Published: 24th, May 2025 GMT
সোমবার শুরু হচ্ছে কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এতে ৩২টি মিডিয়া হাউজ অংশ নেবে। শনিবার অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন-এর অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া কাপ ফুটবলের ড্র, গ্রুপিং, ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলগুলোকে ৮ গ্রুপে ভাগ করা হবে। ৮ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে। পরবর্তীতে নকআউট ভিত্তিতে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দিয়ে ৩১ মে টুর্নামেন্ট শেষ হবে। ম্যাচগুলো ঢাকা স্টেডিয়াম সংলগ্ন পল্টন ময়দানে আয়োজন করা হবে।
টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং ডক্টর জেসমিন জামান বলেন, এই টুর্নামেন্ট সাংবাদিকদের জন্য একটা মিলনমেলা। প্রতিযোগিতার চেয়ে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মনোভাব দেখা বেশি আনন্দের। স্কয়ার গ্রুপ এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে।
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হেড কোচ আলফাজ আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আমাদের আলাদা আন্তরিকতা রয়েছে। তারা আমাদের চেনা-জানা। তাদের খেলতে দেখলে ভালোই লাগে।
বিএসজেএ’র সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু বলেন, সাংবাদিকরা সারাবছর কর্মব্যস্ত থাকেন। তাদের জন্য খেলার দারুণ একটা সুযোগ এই টুর্নামেন্ট। দীর্ঘদিন টুর্নামেন্টটির সঙ্গে আছে স্কয়ার গ্রুপ। তারা না থাকলে এটি আয়োজন করা সম্ভব হতো না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসজেএ’র সাধারণ সম্পাদক এসএম সুমন, টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক রায়হান আল মুঘনী, সদস্য সচিব ইয়াসিন হাসান রাব্বি ও বিএসজেএ’র যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত জোবায়ের প্রমূখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল ট র ন ম ন ট ব এসজ এ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি