পালিত ছেলের বিরুদ্ধে মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 24th, May 2025 GMT
যশোরে শেখ শামস (২৪) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে তার পালিত মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৪ মে) বিকেলে যশোর শহরের মনিহারস্থ ফলপট্টি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম খালেদা খানম। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ শামসকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, শেখ শামস মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন যশোর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত।
পুলিশ জানিয়েছে, মনিহারের ফলপট্টির শামস মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় খালেদা খানম বসবাস করতেন। তার কোনো সন্তান না থাকায় তিন মাস বয়স থেকে শামসকে দত্তক সন্তান হিসাবে পালন করছেন।
আরো পড়ুন:
অভয়নগরে কৃষক দল নেতাকে হত্যার পর ২০ বাড়িতে আগুন
শেরপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
শনিবার সকাল থেকে ফলপট্টির দোকানদাররা পানি না পাওয়ায় খালেদাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু, ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দুপুরে আবার ডাকাডাকি করেন। সে সময়ও ভেতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় দোকানদাররা ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। পরে স্থানীয় ফাঁড়ির সদস্যরা এসে ডাকাডাকি করলে শামস দরজা খোলেন।
এ সময় পুলিশ ও দোকানদাররা খালেদার খোঁজ নিলে তিনি বাড়িতে নেই বলে জানিয়ে দেন। পুলিশের সন্দেহ হলে খালেদার কক্ষের দরজার কাছে গেলে দরজা খুলতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে দরজা খুলে তার লাশ দেখতে পান। পরে খালেদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘‘শামস মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময়ে মাদকের টাকার জন্য তিনি তার মাকে মারধর করতেন। টাকার জন্যই তিনি পিটিয়ে তার মাকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/রিটন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু, রেলপথ অবরোধ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর রেলগেটে ট্রেনে কাটা পড়ে আইনুল ইসলাম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রেলগেট না থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে দাবি করে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে খুলনা-চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
নিহত আইনুল ইসলাম (২৫) আমিরপুর গ্রামের আরমান হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আমিরপুর রেলগেট অতিক্রম করছিল। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী আইনুল ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এ দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা রেললাইনে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা রেলগেটে গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গা সদর ইউএনও এম সাইফুল্লাহ ও ওসি খালেদুর রহমান। তারা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে গেটম্যান বসানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে আটকে থাকা ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ইউএনও এম সাইফুল্লাহ জানান, ঘটনার পর তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমিরপুর রেলক্রসিংয়ে দ্রুতই রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে রেলওয়ে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।