আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পরবর্তী মৌসুম মাঠে গড়াবে। লিগের ‘ঠিক-ঠিকানা’ এখনো কিছুই ঠিক হয়নি। কিন্তু দল গোছানোর কাজে মাঠে নেমে পড়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এবার তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিগ বাজেটে দল গুছিয়েছিল রূপগঞ্জ। কিন্তু শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি।
চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। সেই দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হান্নান সরকার। দল গোছানোর আগে হান্নানকেই দলে টানল রূপগঞ্জ। আগামী বছরের প্রিমিয়ার লিগে হান্নান রূপগঞ্জকে কোচিং করাবেন। এ খবর নিজের ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও নির্বাচক হান্নান।
তিনি লিখেছেন, ‘‘আবাহনী ছেড়ে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জে যাচ্ছি। সংবাদটা জানাতে কষ্ট যে লাগছে না, তাও না। নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়ার পর আবাহনীই ছিল সেই দল, যারা আমাকে স্বপ্ন পূরণের যেই অনেক বড় রাস্তা, সেই পথে হাঁটার সুযোগ করে দিয়েছিল। আবাহনীর সবার থেকেই যে পরিমাণ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা পেয়েছি আর তাদের যে পরিমাণ আস্থা জিততে পেরেছি, নিশ্চিতভাবেই আগামী দিনগুলোতে তা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’’
চ্যাম্পিয়ন কোচের দলবদলের পেছনে কিছু ভাবনা কাজ করেছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আবাহনী আগামী মৌসুমে কেমন দল গড়তে পারে দ্বিধায় আছেন হান্নান। অনিশ্চয়তায় থাকতে চাননি। এজন্য রূপগঞ্জের প্রস্তাব লুফে নিয়েছেন।
‘‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়েই অনেক অনেক কম বাজেটে একটা দল গুছানো, সেই দলটাকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া খুব একটা সহজ ছিল না। আমরা সবাই মিলেই চেষ্টা করে সফল হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী মৌসুমে কি হবে, কেমন বাজেট থাকবে সবকিছু নিয়েই এই মুহূর্তে অনিশ্চয়তা আছে। সেই অনিশ্চয়তার জন্যই দলটার প্রধান মানুষদের সাথে বসা, তাদের সাথে আলাপ করা এবং পরামর্শ চাওয়া! সবশেষে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যে, পরের মৌসুমে আর আবাহনীর সাথে থাকছি না। পুরো ব্যাপারটাই হয়েছে খুব সুন্দর আলোচনার মধ্য দিয়েই। তারাও আমাকে শুভকামনা জানিয়েছে, আমিও মন থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই। আবাহনী সবসময়ই আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকবে।’’
রূপগঞ্জে শেষ আসরে তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মাহেদী হাসান, আকবর আলী, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন, জাকের আলী, শরিফুল ইসলা, তানজিম হাসান সাকিবদের নিয়ে দল গুছিয়েছিল। আগামী বছর তারা মোস্তাফিজ, তাসকিনকেও নিতে পারে। বড় দল নিয়ে কাজ করার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন হান্নান,
‘‘সব ঠিক থাকলে নতুন গন্তব্য লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। আরও একবার নতুন চ্যালেঞ্জ, বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক বড় দলে কাজ করলে যেই চাপটা থাকে তা হলো, দিনশেষে সবাই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে চায়। আমিও চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত।
‘‘সবসময়ই চেয়েছি এমন কোথাও থাকতে, যেখানে পুরো দল বিশ্বাস করবে তারা যে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কিংবা হবে। আশা করি, তেমনই একটা দল নিয়ে আপনাদের সামনে আসব নতুন মৌসুমে। হয়তো সেই দল আপনাদেরও স্বপ্ন দেখাবে, অনুভব করাবে, "ওরাই এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারে।"’ – যোগ করেন হান্নান।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পগঞ জ ক জ কর দল গ ছ স ই দল
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জাট আজ শনিবার ঢাকায় এসেছেন। চার দিনের সফরে এসেছেন। সফরকালে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সরকারের নীতি নির্ধারক ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জোহানেস জাট ২০২৫ সালের ১ জুলাই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হচ্ছে তাঁর নতুন দায়িত্বে প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর। এর আগে তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জোহানেস জাট বলেন, ‘এ দেশের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে, যা আমার মনে দারুণভাবে গেঁথে আছে। আমি সব সময়ই মুগ্ধ হয়েছি, বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ়তা, সৃজনশীলতা এবং নিজেদের সন্তানদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প দেখে। আমি আগ্রহ নিয়ে আবার বাংলাদেশে এলাম, যেন নিজের চোখে দেখে নিতে পারি—গত ১০ বছরে কী অসাধারণ পরিবর্তন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা এবং প্রতি বছর কর্মবাজারে প্রবেশ করা প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য আরও ভালো ও বেশি কর্মসংস্থান তৈরিতে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নেদারল্যান্ডসের নাগরিক জোহানেস জাট ১৯৯৯ সালে বিশ্বব্যাংকে যোগ দেন। সর্বশেষ তিনি ব্রাজিলে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি অপারেশনাল পলিসি অ্যান্ড কান্ট্রি সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক ছিলেন। তিনি তুরস্ক, কমরোস, ইরিত্রিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, সেশেলস এবং সোমালিয়ায় কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন।