ঢাকায় আরেক ফিলিপস: স্বপ্ন গ্লেনের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলা
Published: 25th, May 2025 GMT
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে তখন। অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে সবাই। সবার মধ্যেও আলাদা একজন। এদিক–ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন, একটু পর শুয়ে পড়লেন ঘাসেই। কিছুক্ষণ পর উঠে মাঠে থাকা একটা বোতল নিয়ে ফেললেন ডাস্টবিনে। লোকটার নাম ডেল ফিলিপস।
বাংলাদেশ সফরে আসা নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের এই ক্রিকেটারের নামটা শুনে আপনার নিশ্চয়ই অন্য এক ফিলিপসের কথা মনে হচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। দুজনের একটা সম্পর্ক তো আছেই। নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের তারকা গ্লেন ফিলিপসের ভাই ডেল ফিলিপস।
গ্লেন দুই বছরের বড়। তবে ছোটবেলা থেকে দুজনই একসঙ্গে ক্রিকেট খেলে বেড়ে উঠেছেন। একসঙ্গে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপেও, এই বাংলাদেশেই। দুবার আসার এই অভিজ্ঞতাটুকু কেমন জানতে চাইলে বেশ উচ্ছ্বাস নিয়েই ডেল বললেন, ‘বাংলাদেশে এলে খুব ভালো লাগে। এখানকার আতিথেয়তা দারুণ।’
২০১৬ সালের সেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুই ভাই একসঙ্গে এলেও এবার শুধু ডেল। কারণ, বড় ভাই এরই মধ্যে ‘এ’ দলের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় দলের বড় তারকা হয়ে গেছেন।
গ্লেন ফিলিপস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা