গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতে বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) আওতায় দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। 

শনিবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.

তাইফুর রহমান। রোববার এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী। 

এতে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহজাহান রেজা। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আছেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম।

প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালত গঠন, আদালতের এখতিয়ার, বিচারযোগ্য মামলা, সমন জারি, শুনানি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সিদ্ধান্ত কার্যকরণ, ক্ষতিপূরণ ও জরিমান, কতিপয় মামলা স্থানান্তর, অন্তর্ভূক্তিমূলক গ্রাম আদালত ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ