৭৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখার স্পেশাল মেনশন (বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছবি হিসেবে স্বীকৃতি) দেওয়া হয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত সিনেমাটিকে। গতকাল শনিবার উৎসবের সমাপনী দিনে এই ঘোষণা করা হয়। দেশের চলচ্চিত্রের এমন স্বীকৃতিতে আদনান আল রাজীবসহ পুরো ‘আলী’ টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদনের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা। ঘটনাটিকে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মনে করছেন শাকিব খান। এ নিয়ে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনকানে বিশেষ স্বীকৃতি পেল ‘আলী’১৩ ঘণ্টা আগে

ফটোকার্ড শেয়ার করে শাকিব খানের ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শাবাশ! আদনান ও টিম “আলী”।’ শাকিব খানের শুভেচ্ছা বার্তার মন্তব্যে আদনান আল রাজীব লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ, শাকিব খান, আপনাকে ভালোবাসি।’
‘আলী’ সিনেমাটি কানে প্রদর্শিত হয় গত শুক্রবার। বিশেষ এ স্বীকৃতির পর ফেসবুকে আদনান আল রাজীব লিখেছেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য। ধন্যবাদ কান চলচ্চিত্র উৎসব।’ প্রিমিয়ারের আগে কান থেকে আদনান আল রাজীব প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘রাত পোহালেই আপনাদের সিনেমার প্রদর্শনী, কী অনুভূতি হচ্ছে।’ এমন প্রশ্নে এই পরিচালক বলেন, ‘গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।’ দেশ-বিদেশের সিনেমা সমালোচক, পরিচালক, প্রযোজক সিনেমাটি নিয়ে কী বলেন, সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান তিনি।
আদনান আরও বলেন, ‘আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, যখন আপনি সত্যিকারের কিছু বলেন, সবাই সেটা অনুভব করতে পারে, সে যে-ই হোক না কেন। আমি মুখোমুখি হব একজন নির্মাতা হিসেবে, নিজের গল্প নিয়ে, নিজের ভাষা নিয়ে। ভয় নেই; কারণ, আমি জানি, এটা আমার সত্য।’

পরিচালক আদনান আল–রাজীব। ছবি: ফেসবুক.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র পর চ ল ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় এবার ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা, বেড়েছে ২২টি মন্ডপ

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মন্ডপগুলোতে চলছে নানা প্রস্ততি। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। জেলায় ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের পূজার প্রস্ততি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। প্রতিমা শিল্পীরা ৫টি থেকে ১০টি পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করেছেন।

প্রতিমা শিল্পী কুমারেশ দাস ও মৃত্যুঞ্জয় কুমার পাল জানান, শেষ সময়ে প্রতিমা শিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে চাহিদাও বেশি।

এদিকে সকলের সহযোগিতায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গোৎসব পালন করতে চান আয়োজকরা।

হরিবাসর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা বিপ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আশা করছি প্রতিবছরের মতো এবছরও উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।”

মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজা মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, “প্রত্যেক ধর্মকে সন্মান জানানো প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সকলেই আমাদের পাশে থাকেন। আশাকরি এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।”

কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, “আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভূজার আগমন হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।”

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ১১টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ১২টি মন্ডবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এ বছর গত বছরের তুলনায় ২২টি মন্ডপে পূজা বেড়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে। এছাড়া ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।”

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতিটা পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।”

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোন প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকারের মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় এবার ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা, বেড়েছে ২২টি মন্ডপ
  • ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত
  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি