ফরিদপুরের সদরপুর থানা থেকে প্রায় ১০ মাস আগে লুট হওয়া একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৫ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান। 

শটগানটি শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালিখোলা মোড় এলাকায় প্রশিকা এনজিওর কার্যালয়ের গেট সংলগ্ন স্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ জানান, শনিবার (২৪ মে)  রাতুল ও আনিস নামে দুই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র লুটে জড়িত ছিল। গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কালিখোলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে শটগানটি উদ্ধার করে।

আরো পড়ুন:

হ্যান্ডকাপসহ আ.

লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ায় গ্রেপ্তার ৯, এএসআই ক্লোজড 

নদীতে ভাসছিল তরুণের হাত-পা বাঁধা মরদেহ

ওসি নাজমুল হাসান জানান, গত ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তদের হামলার সময় সদরপুর থানা থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তির তথ্যের সূত্র ধরে একটি শটগান উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি অস্ত্রগুলো এখনো পাওয়া যায়নি। 

তিনি আরো বলেন, ‘‘যদি কেউ লুট হওয়া অস্ত্রের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করে বা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে জানায়, তবে তাকে পুরস্কার দেয়া হবে।”

পুলিশ বাকি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছে বলে জানান তিনি। 

ঢাকা/তামিম/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র শটগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট দিল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন

নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, বাড়ছে আতংক। আর এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট সরবরাহ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২০০০ টি কিট হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো তামশিদ ইরাম খান এবং জেলা প্রশাসন ও হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

কিট হস্তান্তর শেষে হাসপাতালটির ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন করে রোগিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সার্বিক পরস্থিতির বিষয়ে খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা ও রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত কিট, ওষুধ ও স্যালাইন মজুতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একই সাথে তাৎক্ষণিকভাবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। আমরা সব দিক থেকে তৎপর রয়েছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছি।

আমরা আশা করি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য যে পরিমাণ কিট প্রয়োজন, তা হাসপাতালের কাছে ছিল না। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে যারা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে, তারা সাধারণত অসহায় অবস্থায় আসে। এ সময় তাদের পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ, যা রক্তের প্লাটিলেট কমিয়ে দিতে পারে।

তাই শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, নইলে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে আশার কথা, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ