চবি ৪২ ব্যাচের সভাপতি তাহিরা মিশু, সম্পাদক আলীমুল
Published: 25th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ব্যাচ-৪২, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ২০২৫-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তাহিরা আলী মিশু সভাপতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আলীমুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন।
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম ব্যাচের ৩৩টি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ব্যাচ প্রতিনিধিরা অনলাইনে ভোটাভুটির মাধ্যমে বেছে নেন নতুন নেতৃত্ব।
কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি পদে আইন বিভাগের মোছা.
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন রসায়ন বিভাগের তারেক আজিজ, রাজনীতি বিজ্ঞানের শেফালী সুমি এবং মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের নাঈম। অর্থসম্পাদক পদে সমাজতত্ত্ব বিভাগের আনোয়ার হোসাইন, আইন সম্পাদক পদে আইন বিভাগের ওমর ফারুক (খালেদ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তারেক মাহমুদ এবং দপ্তর সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ বশির উল্লাহ সাইমুম নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ইউসুফ আলী, বিবিএ ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের আনোয়ার হোসেন মামুন, ফরেস্ট্রি বিভাগের ফিরুজ উজ জামান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সজীব ত্রিপুরা, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মোজাম্মেল হুসেন এবং অর্থনীতি বিভাগের ইশরাত মাহ-নুর (এশা) নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা করেন চবি ৪২তম ব্যাচের পদার্থবিদ্যা বিভাগের মুহাম্মদ মাহফুজুল আলম ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মো. শরীফুজ্জামান।
নবনির্বাচিত নেতারা ‘ব্যাচ-৪২, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’-কে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলা, সংগঠনটির কার্যক্রমে আরও সৃজনশীলতা ও গতি আনয়ন করা এবং বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দানিশকে বাংলাদেশে পুশইন, আদালতে যাচ্ছে তৃণমূল
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূমের বাসিন্দা দানিশ শেখ। তাঁর স্ত্রী সোনালি খাতুন ও ছেলে সাবিরকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কেবল মুসলিম ও বাংলাভাষী হওয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘এই সময়’ অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়, ‘কোনো খোঁজ নেই দানিশ শেখের। ২৬ বছরের যুবক ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কাগজ কুড়ানোর কাজ করতেন। খোঁজ নেই তাঁর স্ত্রী সোনালি খাতুন (২৫) এবং তাদের ৯ বছরের ছেলে সাবিরেরও। সোনালিও দিল্লিতে দানিশের সঙ্গে কাজ করতেন। খোঁজ নিতে গিয়ে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। দিল্লি পুলিশের সন্দেহ হয়, দানিশ বাংলাদেশি। এ কারণে সপরিবার তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে।’
পরিবারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মুরারইয়ে পাকুড় থানা এলাকায় দানিশদের বংশানুক্রমিক বাস। ভিটেমাটি ছেড়ে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দানিশ দিল্লিতে থাকেন। যে বস্তিতে থাকতেন, কিছুদিন আগে সেখানে বিধ্বংসী আগুনে দানিশের ভোটার কার্ড পুড়ে যায়।
দানিশের শ্যালক রকি শেখ জানান, দানিশের আধার কার্ড তো ছিল। সেটা দেখানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। রকির অভিযোগ, গত ২৬ জুন দানিশ, তাঁর বোন সোনালি ও ভাগনেকে দিল্লি পুলিশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাদের আর কোনো খোঁজ নেই। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সুইচ অফ বলছে।
অভিযোগ উঠছে, বাংলায় কথা বলা মুসলিমদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ধরে ধরে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। এদের প্রায় সবাই পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। প্রমাণপত্র দেখিয়েও লাভ হচ্ছে না। গত রোববার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক্সে জানানো হয়, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, নেতাজি ও বিবেকানন্দের ভাষায় (বাংলা) কথা বলাও এখন নরেন্দ্র মোদির দেশে অপরাধ।
রকি জানান, সোনালি তাঁর মামাতো বোন। মামা বহুদিন দিল্লিতে। আরেক মামাতো বোন করিশমাও সেখানে। করিশমাই ফোন করে জানান, দানিশদের পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। রকি জানান, দিল্লিতে করিশমা উকিলেরও ব্যবস্থা করেন। সোনালির আধার কার্ড সেই উকিলকে দেওয়া হয়। গত ২৬ তারিখ উকিল জানান, আর কিছু করার নেই। দানিশদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় দানিশের পরিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সামিরুল ইসলামের দ্বারস্থ হয়েছে। এ সংসদ সদস্য জানান, দানিশ ও তাঁর পরিবারকে দ্রুত ভারতে ফেরানোর দাবিতে তিনি আদালতে যাবেন।