পৃথিবী থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে নতুন একগুচ্ছ ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা ছবি বিশ্লেষণ করে কসমস ওয়েব নামের একটি অঞ্চলে কাছাকাছি অবস্থান করা দেড় হাজারের বেশি ছায়াপথ শনাক্ত করা হয়েছে। ছায়াপথের অন্যতম বৃহৎ সংকলন বলা হচ্ছে ছায়াপথগুচ্ছটিকে। নতুন এ আবিষ্কার ছায়াপথের গঠন ও বিবর্তন সম্পর্কে নতুন তথ্য দেবে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মহাবিশ্ব আসলে কত বড় বা এখানে কত বড় কাঠামো রয়েছে, তা নিয়ে নতুন তথ্য দিচ্ছে নতুন আবিষ্কৃত গুচ্ছ ছায়াপথগুলো। এসব ছায়াপথ গোষ্ঠী ও ক্লাস্টার ডার্ক ম্যাটার, উত্তপ্ত গ্যাস ও বিশাল কেন্দ্রীয় ছায়াপথে ভরা। প্রায়ই অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বরকে ধারণ করে এসব গুচ্ছ ছায়াপথ। আর তাই বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে জটিল মিথস্ক্রিয়া ছায়াপথের জীবনচক্র গঠনসহ গোষ্ঠী ও ক্লাস্টারের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহাজাগতিক কাঠামোর সম্পূর্ণ ইতিহাস উন্মোচন করা সম্ভব হলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

ফিনল্যান্ডের আল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী গাসেম গোজালিয়াসল বলেন, ‘আমরা মহাবিশ্ব গঠনের প্রথম সময়কার কিছু গ্যালাক্সি প্রকৃতপক্ষে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে আমরা ১ হাজার ৬৭৮টি গ্যালাক্সি গ্রুপ বা প্রোটো-ক্লাস্টার শনাক্ত করেছি। এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা গ্যালাক্সি গ্রুপের মধ্যে এই আবিষ্কার বৃহত্তম ও গভীরতম নমুনা। এই নমুনার সাহায্যে আমরা গত এক হাজার ২০০ কোটি বছরের গ্যালাক্সির বিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারব।

খুব ক্ষীণ ছায়াপথগুলো বর্তমানে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। মহাবিশ্বের প্রাথমিক পর্যায়ে ছায়াপথ দেখতে কেমন ছিল তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে এসব ছায়াপথে। নতুন এসব ছায়াপথের তথ্য অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস (এএন্ডএ) সাময়িকীতে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ চ ছ ছ য় পথ ছ য় পথ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ