এবার চামড়ার দাম নিশ্চিতে বিশেষ তৎপরতা থাকবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
Published: 26th, May 2025 GMT
এই ঈদে চামড়ার দাম নিশ্চিতে সরকার বিশেষভাবে তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, চামড়ার দামটা মূলত গরিবেরা পান। তাই এটার দাম যেন ঠিক থাকে, সে জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাই কাঁচা চামড়া রপ্তানি পর্যন্ত সংরক্ষণে সরকার পাশে থাকবে। ইতিমধ্যে কোরবানি ঈদ সামনে রেখে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও কাঁচা লবণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
‘দেশীয় পশুতে কোরবানি: পশু ও চামড়া ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ বা কেআইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কোরবানির ঈদে গরু মোটাতাজা করা হয়। কিন্তু এসব পশু কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্ন থেকে যায়। এসব পশু যেন হাটে না আনা হয়, সেটা আমরা দেখছি।’ কোরবানির মাংস বিতরণ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গরিবদের মধ্যে সেভাবে মাংস বিতরণ করা হয় না। তাই ঈদের আগে ফ্রিজ বিক্রি বেড়ে যায়। এটা খুবই দুঃখজনক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, অন্তত এক–তৃতীয়াংশ মাংস গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল ও এনসিপি নেতা সামান্তা শারমিন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?