নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে মহাসড়কে লুট হওয়া ১২টি গরু উদ্ধার করেছে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিএসবিএ হাসপাতাল–সংলগ্ন একটি খালি জায়গা থেকে এসব গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. তামিম ও আনোয়ার হোসেন। তাঁদের বাড়ি সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নে। গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বগুলা বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওই ১২টি গরু লুট হয়। এসব গরু একটি পিকআপ ভ্যানে করে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লুটের ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন গরুর মালিক মো.

মাহফুজ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার তামিম স্থানীয় ডাকাত দলের সদস্য। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুট হওয়া গরু উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে লুটের ঘটনায় যুক্ত অভিযোগে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, মহাসড়কে গতিরোধ করে ১২টি গরু লুট করা হয়েছিল। পুলিশের অভিযানে এসব গরু উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া গরুর বাজারমূল্য ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শূন্যের দুনিয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ওপরে কেউ নেই

পাকিস্তান দলে সাইম আইয়ুবের ভূমিকাটা কী? এটা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারেন। কারণ, এই ওপেনার এশিয়া কাপে তিন ম্যাচ খেলে এখনো রানের দেখা পাননি। টানা তিন ম্যাচেই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অথচ এই সাইমই বল হাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট—পাকিস্তান দলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি!

পাকিস্তান দলের কোনো ক্রিকেটারের টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। পাকিস্তানের আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও একবার টানা তিন শূন্যের তিতা স্বাদ পেয়েছেন। সেটি সাইমের মতোই ওপেনিংয়ে নেমে। এ দুজন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ওপেনার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

চলতি বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাইম শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাঁচবার। চলতি বছর যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ এবং এই তালিকায় পাকিস্তান ওপেনারকে সঙ্গ দিচ্ছেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান—হাসান নেওয়াজ। তিনিও চলতি বছর পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। হাসান (২২) যদিও সাইমের (১৭) চেয়ে ৫ ইনিংস বেশি খেলেছেন।

৫চলতি বছরে পাঁচবার শূন্যতে আউট হয়েছেন সাইম।

সাইম সব মিলিয়ে পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আটবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন, যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১০বার পাকিস্তানের হয়ে শূন্য রানে আউট হয়েছেন উমর আকমল। আটবার শূন্য রানে আউট হয়ে সাইমের পাশে শহীদ আফ্রিদি। তবে আফ্রিদি খেলেছেন ৯০ ইনিংস, সাইম ৪৪।

আরও পড়ুনপাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো২ ঘণ্টা আগে

আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ১১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। চলতি বছর বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন।

পারভেজ হোসেন চলতি বছর চারবার শূন্যতে আউট হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ