নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার সময় এসেছে: ড. ফাহমিদা খাতুন
Published: 27th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের নয় মাস, এখন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্য এটি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতীয় বাজেট সামেন রেখে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সিপিডির প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর এক প্রশ্নের উত্তরে ফাহমিদা খাতুন এমন মত দেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ শিরোনামে সংস্থার পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন তিনি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছে। এক্ষেত্রে যে বড় অনিশ্চয়তা আছে তাও নয়। তারপরও সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রমে হাত দিলেও সমন্বিতভাবে তা পরিচালিত হচ্ছে না। এমনকি সংস্কার কার্যক্রমেও বাধা আসছে।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুধু সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বিনিয়োগে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে – এমন ধারণা ঠিক নয়। জ্বালানি সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে না পারা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারাও বড় কারণ।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাপক চাপের মধ্যে আছেন। সরকারের কিছু উদ্যোগ মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমালেও তা এখনও সহনীয় পর্যায়ে নামেনি।
সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ, পরিচালন কাঠামোর উন্নতি এবং নীতি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র দৃশ্যমান এবং সাহসী সংস্কারই আগামী বছরগুলোতে অর্থনীতিকে টেকসই করতে পারে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকল্পের তিন মাসের খরচ বিবেচনা করে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর পর্যালোচনা করে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
আগামী রোববার থেকে বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে আছে প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক শুরু করবে ইআরডি।
চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। প্রথম তিন মাসে মাত্র ৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
এবারের এডিপিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা দেশীয় উৎস থেকে এবং ৮ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে। বাকি ৮৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশি সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ৫ হাজার ৭৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা বিদেশি সহায়তার মাত্র ৬ শতাংশের মতো। এর মানে হলো, অর্থবছরের চার ভাগের এক ভাগ সময় পেরিয়ে গেলেও বিদেশি সহায়তা খরচে হতাশাজনক চিত্র মিলছে।
ইতিমধ্যে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কীভাবে হবে, তা নিয়ে ইআরডি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পাঁচ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলো হলো—এক. প্রকল্পের আর্থিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ক্রমপুঞ্জিভূত খরচ ইত্যাদির সঙ্গে অবশিষ্ট প্রাপ্যতার সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ চাহিদা দিতে হবে। দুই. প্রকল্পের ব্যয়ের বিদেশি ঋণ, অনুদান ইত্যাদি আলাদা করে পাঠাতে হবে। চার. অনুমোদন ছাড়া সংশোধিত এডিপিতে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। চার. ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের প্রক্ষেপণ প্রেরণের সময় বিশেষ সতর্কতা ও যৌক্তিকতা অবলম্বন করতে হবে। চার. কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলে বা প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হলে সরকারি আদেশের কপি পাঠাতে হবে।