অন্তর্বর্তী সরকারের নয় মাস, এখন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্য এটি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। 

মঙ্গলবার জাতীয় বাজেট সামেন রেখে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সিপিডির প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর এক প্রশ্নের উত্তরে ফাহমিদা খাতুন এমন মত দেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ শিরোনামে সংস্থার পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছে। এক্ষেত্রে যে বড় অনিশ্চয়তা আছে তাও নয়। তারপরও সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রমে হাত দিলেও সমন্বিতভাবে তা পরিচালিত হচ্ছে না। এমনকি সংস্কার কার্যক্রমেও বাধা আসছে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুধু সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ার  কারণে বিনিয়োগে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে – এমন ধারণা ঠিক নয়। জ্বালানি সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে না পারা এবং  স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারাও বড় কারণ।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাপক চাপের মধ্যে আছেন। সরকারের কিছু উদ্যোগ মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমালেও তা এখনও সহনীয় পর্যায়ে নামেনি।

সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ, পরিচালন কাঠামোর উন্নতি এবং নীতি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র দৃশ্যমান এবং সাহসী সংস্কারই আগামী বছরগুলোতে অর্থনীতিকে টেকসই করতে পারে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরে ১০ দিনে প্রবাসী আয় ১২৯ কোটি ডলার

চলতি ডিসেম্বর মাসের ১০ দিনে দেশে বৈধ পথে ১২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যা ১৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা) অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন গড়ে দেশে আসছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৫৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রবাসী আয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, আগস্ট মাসে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার, জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

ঢাকা/নাজমুল/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ড্রাগন ফল বিক্রি করে কারও আয় ১০ লাখ, কারও ১৫ লাখ টাকা
  • ডিসেম্বরে ১০ দিনে প্রবাসী আয় ১২৯ কোটি ডলার