বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাকের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। কর্মসূচির ফলে নগর ভবনের সামনের রাস্তা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যস্ত সময়ে সড়ক অবরোধ করায় আশপাশের এলাকাগুলোতে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।

এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৪ মে। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ও ইশরাকের সমর্থকসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতির পর আবার টানা কর্মসূচি চলছে।

নগর ভবনের সামনের সড়ক বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। হাইকোর্ট মোড় থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায় দুপুরে।

আধা ঘণ্টা হেঁটে অফিসে পৌঁছানো এক বেসরকারি কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি দরকার নেই, শুধু রাস্তা খুলে দিন। যাতায়াতই এখন বড় সমস্যা।’

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ইশরাকের পক্ষে আদালত থেকে দুই দফা রায় আসার পরও টালবাহানা করে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

গত বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন ইশরাক। সেদিন ও তার আগের দিন বুধবার বিএনপির নেতা-কর্মীরা মৎস্য ভবন মোড়, কাকরাইল মোড়সহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন।

ইশরাককে মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ায় গত শনিবার থেকে ঢাকাবাসীর ব্যানারে নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সিংহভাগ কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের একটি অংশ যুক্ত হয়েছে। কর্মসূচি শুরুর দুই দিন পর থেকেই মূলত তাঁরা যুক্ত হন। এখনো তাঁরা এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে রয়েছেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা এখানে অবস্থান নিয়ে ‘শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘মেয়র নিয়ে টালবাহানা, সহ্য করা হবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগরপিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

নগর ভবন কার্যত অচল, সেবা বন্ধ

নগর ভবনের প্রবেশের সব ফটকে এখনো তালা ঝুলছে। ভেতরে সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পর দিন ১৫ মে থেকে সব সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তাও নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন না।

সংস্থাটির এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দিন মেয়র ইস্যু না মিটবে, তত দিন নগর ভবনের এই অচলাবস্থা চলতেই থাকবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইশর ক র সমর কর মকর ত অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৭ থেকে ১০ জুলাই) কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।

শনিবার (১২ জুলাই) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহজুড়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির গড়ে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৪৯ শতাংশ। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ইয়াকিন পলিমার

ডিএসইতে সাপ্তা হিক দাম বাড়ার শীর্ষে রহিম টেক্সটাইল

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তা ছিল মোট লেনদেনের ২.৪৯ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.২১ শতাংশ।

লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সি পার্ল রিসোর্টের ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রিমের ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিএসসির ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অগ্নি সিস্টেমের ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংকের ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের ৯ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ