১৩ ম্যাচে ১২ বার ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫১ রান। স্ট্রাইক রেট ১০৭.০৯। এবারের আইপিএলে শেষ ম্যাচ খেলার আগে এমনই ছিল ঋষভ পন্তের পরিসংখ্যান। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ভারতীয় উইকেটকিপার সবকিছু যেন তুলে রেখেছিলেন শেষ ম্যাচের জন্য। লক্ষ্ণৌয়ে আজ মৌসুমে নিজের শেষ ম্যাচে ফর্ম হারিয়ে নিজেকে খুঁজে বেড়ানো পন্ত ৬১ বলে করেছেন অপরাজিত ১১৮ রান।

পন্তের ৮ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ভর করে লক্ষ্ণৌ করে ৩ উইকেটে ২২৭ রান। এই রানও যথেষ্ট হয়নি লক্ষ্ণৌর। জীতেশ শর্মার অবিশ্বাস্য এক ইনিংসের কাছে হেরে গেছেন পন্তরা। ৩৩ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন জীতেশ। আর প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে জয় পেয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ পেয়ে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। যেখানে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী পাঞ্জাব কিংস। অন্যদিকে প্লে-অফের আগেই বিদায় নেওয়া লক্ষ্ণৌ এবারের আইপিএল শেষ করল সপ্তম হয়ে। ১৪ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ১২। প্রথম পর্বে দ্বিতীয় হওয়া বেঙ্গালুরুর ১৯।

নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ও আইপিএল ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতল জীতেশের বেঙ্গালুরু। জীতেশ যখন উইকেটে আসেন ১১.

২ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৩ রান বেঙ্গালুরুর। সেখান থেকে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে ৫২ বলে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতালেন ৩১ বছর বয়সী জীতেশ। ৩৩ বলে ৮৫ রান করা জীতেশ মেরেছেন ৬টি ছক্কা। ৪৯ রানে দাঁড়িয়ে ক্যাচ দিয়েও নো দিগ্বেশ রাঠির নো বলের সৌজন্যে বেঁচে যাওয়া জীতেশ পরের বলে ফ্রি হিটে ছক্কা মেরে পেয়ে যান ফিফটি। সেই জীতেশ ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আয়ুশ বাদোনিকে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন।

জীতেশের সঙ্গী আগারওয়াল ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে ৩০ বলে ৫৪ রান করেন ওপেনার বিরাট কোহলি। ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তাঁর সঙ্গী ফিল সল্ট ১৯ বলে করেন ৩০ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছিল লক্ষ্ণৌকে। পন্ত ব্যাটিংয়ে নামেন তৃতীয় ওভারে ম্যাথু ব্রিটজকে দলকে ২৫ রানে রেখে আউট হওয়ার পর। পন্ত-ঝড়ের সূচনা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে। নিজের চতুর্থ বলে যশ দয়ালকে স্লগ সুইপ করে পেয়ে যান ৮ ছক্কার প্রথমটি। ওই ওভারে পরে দুটি চার মারা পন্ত তোলেন ১৮ রান।

২৯ বলে ফিফটি পাওয়া পন্ত সেঞ্চুরি পেয়ে যান ৫৪ বলে। ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে চার মেরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি পেয়ে যাওয়াটা পন্ত উদ্‌যাপন করেছেন উল্টো ডিগবাজি খেয়ে।

মিচেল মার্শকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১৫২ রান যোগ করা পন্ত পরে তৃতীয় উইকেটে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে যোগ করেন ৪৯ রান। জুটিতে পুরানের অবদান ছিল ১৩ রান। এর আগে অস্ট্রেলীয় ওপেনার মার্শ ৩৭ বলে ৫ ছক্কায় করেন ৬৭ রান।
শেষ পর্যন্ত জীতেশের ঝড়ে পন্তদের সবকিছুই বৃথা গেল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর লক ষ ণ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন

আজ ২ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ঊনিশতম বছরে পদার্পণ করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার

মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ নদীর দূষণ: মৎস্য সচিব

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন “

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন