পাকিস্তানের বিপক্ষে যে একাদশে নামতে পারে বাংলাদেশ
Published: 28th, May 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হার এখনো স্মৃতিতে টাটকা। তবে সে হতাশা পেছনে ফেলে আবারও নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এবার প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান। আজ (২৮ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
ম্যাচের আগের দিন লাহোরে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন টাইগাররা। বিশেষ করে পেসাররা কাজ করেছেন পেস বোলিং কোচ শন টেইটের অধীনে। তবে প্রথম ম্যাচের চূড়ান্ত একাদশ নিয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা না গেলেও, দল সাজাতে দেখা যেতে পারে বেশ কিছু নতুন চেহারা।
ব্যাটিংয়ের সূচনায় থাকতে পারেন তরুণ দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। এরপর নামবেন অধিনায়ক লিটন দাস। মিডল অর্ডারে থাকছেন তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে পারেন শেখ মেহেদী হাসান, সঙ্গে থাকবেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। পেস আক্রমণে দেখা যেতে পারে শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদকে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম পাটোয়ারি, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।