হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা আহ্বান
Published: 28th, May 2025 GMT
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্র আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছে। এসব সভায় মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। কমিটি এখন পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা প্রদান করে। এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির স্বীয় উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল দুটো কর্তৃক পাঠানো তালিকার সঙ্গে মামলা-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) না পাঠানোয় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েক দিন আগে (২০ মে) ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা দিয়েছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকার (সুদ-আসলে) অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুদক এই চার্জশিট অনুমোদন করে বলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠনে নীতিমালা অনুমোদন
ইসলামী ব্যাংক: অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও পাচার অর্থ ফেরত চায় ব্যবসায়ী ফোরাম
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিদের মধ্যে অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইউনুছ বাদল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক নির্বাহী পরিচালক নওশাদ আলী চৌধুরী, জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অ্যাননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে শর্ত শিথিল করে ঋণ দেওয়া হয়। তদন্তে দেখা গেছে, ওই ঋণের নামে ৫৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা সুদ-আসলে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের মর্টগেজ করা জমিতে বাস্তবে কোনো ভবন বা কারখানা না থাকা সত্ত্বেও তিন কোটি চার লাখ ৯৬ হাজার টাকায় ক্রয়কৃত জমিকে স্থাপনাবিশিষ্ট হিসেবে মূল্যায়ন করেন। পরে ওই জমি ও স্থাপনার মূল্য ৬ হাজার ৯৮ মিলিয়ন টাকা নির্ধারণ করে অন্যায়ভাবে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। এতে বিআরপিডি সার্কুলার ও ব্যাংকিং নীতিমালা লঙ্ঘন করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকার ক্ষতি হয়।
তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ সালের ৫(২) ধারায় মামলা করে দুদক। মামলার আট মাস পর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে সংস্থাটি।
এর আগে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দুদক। আট মাসের তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেওয়া হলো।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ