নিজের খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে ফ্রান্সকে এনে দিয়েছেন বিশ্বজয়ের স্বাদ। কোচিংয়েও ইতিহাস গড়েছেন ইউরোপের রাজত্বে। এবার সেই জিনেদিন জিদান নিজেকে প্রস্তুত মনে করছেন ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য—এবং সেটিকে তিনি বলছেন তাঁর ‘স্বপ্নের দায়িত্ব’।

সম্প্রতি অ্যাডিডাসের একটি অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে জিদান জানান, “আমি মনে করি, ফ্রান্স দলের জন্য আমার যথেষ্ট কিছু দেওয়ার আছে। এই দলে আমার হৃদয় জড়িয়ে আছে। ১২-১৪ বছর খেলেছি, অনেক স্মৃতি। এখন চাই সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কিছু ফিরিয়ে দিতে।”

ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসে জিদানের নাম লেখা সোনালি অক্ষরে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে তার দুই গোলে দেশ প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। আর ঠিক তার পাশেই ছিলেন দিদিয়ের দেশম—অধিনায়ক হিসেবে। পরে কোচ হিসেবেও দেশম ফ্রান্সকে ২০১৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করেন, ২০২২ ফাইনালেও নিয়ে যান।

আরো পড়ুন:

হামজা-শমিত-ফাহমিদুলকে রেখে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

২০৩১ সাল পর্যন্ত বার্সায় ইয়ামাল, হলেন সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়

তবে সব কিছুর শেষ আছে। দেশম ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের পর তিনি জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। ঠিক তখনই খুলে যেতে পারে জিদানের জন্য দরজা।

কোচ হিসেবে জিদানের রেকর্ডও ঈর্ষণীয়। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, দুটি লা লিগাসহ একাধিক ট্রফি জিতে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ফুটবল ইতিহাসের সেরা কোচদের একজন হিসেবে। যদিও ২০২১ সালে রিয়াল ছাড়ার পর তিনি আর কোনো দলের কোচিংয়ে আসেননি।

জিদান তাই এখনো অপেক্ষায়। না কোনো ক্লাবের, বরং দেশের ডাকের। আর সেই ডাক যদি আসে, তবে হয়তো ২০২৬ বিশ্বকাপের পর দেখা যাবে, পুরনো নায়ক আবার ফিরেছেন দেশের জন্য, এবার ভিন্ন ভূমিকায়।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব শ বক প র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন

সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।

‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।

এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লাস ভেগাসে হতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বের ড্র
  • চীন–কোরিয়াকে পেয়ে ঋতুপর্ণা বললেন ‘আমরা হাল ছাড়ব না’
  • সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন