মগবাজারে প্রকাশ্যে চাপাতি হাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 29th, May 2025 GMT
ঢাকার মগবাজারে প্রকাশ্যে চাপাতি হাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ব্যাগ এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত চাপাতি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. সোহেল, জীবন ওরফে হৃদয় ও শামীম।
এর আগে গত ১৮ মে মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে ছিনতাইয়ের শিকার হন আবদুল্লাহ নামের এক তরুণ। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে একটি গলি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিছুটা দূরে একটি বাড়ির ফটক বরাবর একটি মোটরসাইকেল থামানো। মোটরসাইকেলে চালকসহ তিন আরোহী। ব্যাগ কাঁধে থাকা তরুণ বাড়িটির ফটক বরাবর আসতেই তার পথ আটকান মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা দুই আরোহী। তাদের একজনের মাথায় হেলমেট। আরেকজনের মুখে মাস্ক পরা। দুজনের হাতেই চাপাতি। এই দুজন চাপাতি দিয়ে তরুণকে আঘাত করে তার কাছ থেকে ব্যাগ কেড়ে নেন। তারা মোটরসাইকেলে উঠতে গেলে তরুণ পেছনে পেছনে আসেন। তখন তাকে আবার চাপাতি দিয়ে আঘাত করে দুজন মোটরসাইকেলে ওঠেন।
একপর্যায়ে তরুণ মোটরসাইকেলের সামনে এসে চাকা ধরে তার ব্যাগ ফেরত দিতে অনুরোধ করেন। তখন মোটরসাইকেল থেকে দুজন নেমে তরুণকে আবার চাপাতি দিয়ে আঘাত করে সরিয়ে দেন। হেলমেট পরা চালক মোটরসাইকেলটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। মোটরসাইকেলের পেছনে পেছনে যান ব্যাগ হাতে থাকা এক ছিনতাইকারী। অপর ছিনতাইকারী তখনো তরুণকে ভয় দেখাতে চাপাতি চালাচ্ছিলেন। পরে এই ছিনতাইকারীও মোটরসাইকেলের দিকে চলে যান। তরুণ নিজের দুই হাত মাথায় রেখে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। ছিনতাইকারীদের পেছনে পেছনে গিয়ে ব্যাগ ফেরত দিতে অনুরোধ করতে থাকেন। তাকে থামাতে এক ছিনতাইকারী আবার চাপাতি চালান। তরুণ কিছুটা পেছনের দিকে সরে আসেন।
এ ঘটনায় গত ২৫ মে রাতে হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ের তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন আবদুল্লাহ।
ঢাকা/মাকসুদ/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা
নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে।
বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।
সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’
ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে।
উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।
ঢাকা/সিথুন/বকুল