ঢাকার মগবাজারে প্রকাশ্যে চাপাতি হাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ব্যাগ এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত চাপাতি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. সোহেল, জীবন ওরফে হৃদয় ও শামীম। 

এর আগে গত ১৮ মে মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে ছিনতাইয়ের শিকার হন আবদুল্লাহ নামের এক তরুণ। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে একটি গলি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিছুটা দূরে একটি বাড়ির ফটক বরাবর একটি মোটরসাইকেল থামানো। মোটরসাইকেলে চালকসহ তিন আরোহী। ব্যাগ কাঁধে থাকা তরুণ বাড়িটির ফটক বরাবর আসতেই তার পথ আটকান মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা দুই আরোহী। তাদের একজনের মাথায় হেলমেট। আরেকজনের মুখে মাস্ক পরা। দুজনের হাতেই চাপাতি। এই দুজন চাপাতি দিয়ে তরুণকে আঘাত করে তার কাছ থেকে ব্যাগ কেড়ে নেন। তারা মোটরসাইকেলে উঠতে গেলে তরুণ পেছনে পেছনে আসেন। তখন তাকে আবার চাপাতি দিয়ে আঘাত করে দুজন মোটরসাইকেলে ওঠেন।

একপর্যায়ে তরুণ মোটরসাইকেলের সামনে এসে চাকা ধরে তার ব্যাগ ফেরত দিতে অনুরোধ করেন। তখন মোটরসাইকেল থেকে দুজন নেমে তরুণকে আবার চাপাতি দিয়ে আঘাত করে সরিয়ে দেন। হেলমেট পরা চালক মোটরসাইকেলটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। মোটরসাইকেলের পেছনে পেছনে যান ব্যাগ হাতে থাকা এক ছিনতাইকারী। অপর ছিনতাইকারী তখনো তরুণকে ভয় দেখাতে চাপাতি চালাচ্ছিলেন। পরে এই ছিনতাইকারীও মোটরসাইকেলের দিকে চলে যান। তরুণ নিজের দুই হাত মাথায় রেখে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। ছিনতাইকারীদের পেছনে পেছনে গিয়ে ব্যাগ ফেরত দিতে অনুরোধ করতে থাকেন। তাকে থামাতে এক ছিনতাইকারী আবার চাপাতি চালান। তরুণ কিছুটা পেছনের দিকে সরে আসেন।

এ ঘটনায় গত ২৫ মে রাতে হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ের তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন আবদুল্লাহ।

ঢাকা/মাকসুদ/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ