শুটিংয়ে হাতির আক্রমণ, অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জয়া
Published: 29th, May 2025 GMT
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় সিনেমার শুটিং করছেন শবনম বুবলী ও সজল। গভীর অরণ্যে দৃশ্যধারণের সময় বন্য হাতির আক্রমণ হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে একদল হাতির আক্রমণে শুটিং সেটের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাতির আক্রমণের সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে ছবির কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী আহত হন। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুটিংয়ের অনুমতির নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
‘গারো পাহাড়ে নতুন সিনেমার শুটিং, বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বন্য হাতির দল’ শিরোনামের একটি নিউজ কার্ডের শেয়ার দিয়ে জয়া তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই আরেক উপদ্রব বনের ভেতর। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মন চাইলেই লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন শুরু করা যায়?’ প্রশ্ন রেখে জয়া আরও লিখেছেন, ‘মাইকের শব্দ, শুটিং টিমের বর্জ্য, গান-বাজনা, এগুলো কি অ্যালাউ করা ঠিক হবে এ রকম একটা সেনসিটিভ জায়গায়?’
জয়ার পোস্টের মন্তব্যের ঘরেও নেটিজেনরা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘বিঘ্ন ঘটাচ্ছে শুটিং টিম, অথচ দোষ এখন হাতির! বাহ কী চমৎকার!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ওদের বনে গিয়ে শুটিং করবেন, ওদের বাসস্থানে নিজের মতো করে যা খুশি করবেন, ওরা বিঘ্ন ঘটাবে না?’
সজল ও বুবলী যে ছবিটির শুটিং করছেন, সেটির প্রাথমিক নাম রাখা হয়েছে ‘শাপলা শালুক’। গত মঙ্গলবার ছবির পরিচালক, নায়ক ও নায়িকা প্রথম আলোকে জানান, আসা-যাওয়ার পথে হাতি তাঁদেরও চোখে পড়েছে। এর মধ্যে গতকাল সকালে হাতির আক্রমণের ঘটনায় শুটিং সেটের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতির আক্রমণের সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে ছবির কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী আহত হয়েছেন।
পরিচালক বলেন, ‘এখানে আসার পর শুনেছি, প্রায় সময় দলবলসহ হাতি লোকালয়ে চলে আসে। এতে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের শুটিংয়ের সময়ও তেমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন সবাই ঠিকঠাক আছে। কিন্তু সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। তাই এখন আমরা শুটিং সেটের চারপাশে আলো জ্বালিয়ে শুটিং করছি।’
নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন লোকেশনে ২১ মে থেকে চলছে নতুন এই ছবির শুটিং। এটি সজল ও বুবলী অভিনীত প্রথম কোনো চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে। এই ছবিতে আরও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে। তবে এর অপব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য জুলফিকার মাহমুদ।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর আচরণবিধিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের এক দাবির জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধির ৭–এর ঘ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা যাবে না। আমরা যারা ছোট সংগঠন, আমাদের তহবিল সীমিত। আমরা নির্বাচনী প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে দু-এক মিনিটের ভিডিও বানিয়ে প্রচার কার্যক্রম চালাতে চাই। আমাদের দাবি, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যেন শিথিল নীতি গ্রহণ করে।’
মুরাদ আরও বলেন, বিগত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কিছু ত্রুটি লক্ষ করা গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত রাখার জন্য যতগুলো ভোটকক্ষ থাকবে, সব কটি সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় রাখতে হবে। সবার জন্য সেই সিসিটিভি ফুটেজ উন্মুক্ত রাখতে হবে। ভোট গ্রহণকে স্বচ্ছ রাখার জন্য ভোটকক্ষের ভেতরে জাতীয় গণমাধ্যমকে সরাসরি সম্প্রচার করার অনুমতি দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জকসুর নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার মাহমুদ বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে বিভিন্নজনের চরিত্র হনন করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিলাম। তোমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এআই ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে প্রচার–প্রসারে, তবে অপব্যবহার করা যাবে না। আর সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আলোচনা করে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।