তীব্র সমালোচনার মুখে শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিন স্টেডিয়াম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিংপুলের নাম পুনর্বহাল করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার জারি করা ওই চিঠিতে নাম দুটি পুনর্বহাল করে দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.

জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি, খুব দ্রুতই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে।’

জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিঠি এখনো হাতে পাইনি, তবে ফেসবুকে দেখেছি। চিঠি হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এর আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন জেলার স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তাতে পাবনার এই দুটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে শুধু ‘জেলা স্টেডিয়াম’ ও ‘জেলা সুইমিংপুল’ করা হয়। এর প্রতিবাদে পাবনাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

নাম পুনর্বহালের ঘোষণার আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। তাঁরা নাম পুনর্বহাল না হলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুনপাবনায় দুই মুক্তিযোদ্ধার নামে স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুলের নাম পরিবর্তন, স্থানীয়দের ক্ষোভ২৫ মে ২০২৫

শহীদ আমিনউদ্দিনের ছেলে সদরুল আমিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মতো পাবনার মানুষ আবারও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারকে বাধ্য করা হয়েছে শহীদদের সম্মান রক্ষায়।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের ছেলে নুর ইসলাম বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে আহত হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে।’

পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাতির আত্মার অংশ। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা মানেই জাতিকে অসম্মান করা। ভবিষ্যতে সরকারকে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ