চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার  ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ ২০২৫’ শিরোনামের এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় নয় বিমানবাহিনীর একটি এয়ারক্রাফট এএন-৩২ ও একটি হেলিকপ্টার এমআই-১৭।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.

মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। মহড়ার মাধ্যমে মূলত কোন বিমানে বোমা কিংবা বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া গেলে যাত্রীদের কীভাবে নিরাপদে উদ্ধার করা যাবে এবং বোমা নিষ্ক্রিয় করে কীভাবে বিমানটিকে নিরাপদ করা যাবে, তা দেখানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমান ছিনতাই, আগুন ও বোমা হামলার ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা মূল্যায়নে দুই বছর পর পর এমন মহড়ার আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

মহড়ায় বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বেসামরিক বিমানবন্দরের উচ্চতর সক্ষমতার জন্য মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হয়। মহড়ার মূল উদ্দেশ্য যেকোনো জরুরি অবস্থায় বিমানবন্দরের সব সংশ্লিষ্ট সংস্থার মধ্যে বাস্তবসম্মত কাজের ইঙ্গিত প্রদান ও সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি যাচাই।’ এই মহড়া সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ হিসেবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মহড়ার দৃশ্যে দেখা যায়, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। বিমানটির কাল্পনিক কল সাইন নেপচুন-৭৮৯। শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের আনুমানিক ২৫ মিনিট আগে বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারে একটি অপরিচিত ফোনকলে জানানো হয়, ফ্লাইটটিতে বোমা আছে। বোমার সত্যতা পাওয়ার পর বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থার কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সহযোগিতা চাওয়া হয়। এর মধ্যে বিমানটি অবতরণ করে। তখন বিমানের ক্রুসহ ৩৩ জনকে নিরাপদে বিমান থেকে বের করে আনা হয়। আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমানবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর রানওয়েতে অবস্থানরত বিমানটি থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও পুলিশের সোয়াট টিমের মাধ্যমে দুটি বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার দৃশ্য মহড়ায় তুলে ধরা হয়।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, মহড়ায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, সিএমপি, আনসার, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, বিমানবাহিনী মেডিকেল টিম, বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসসহ আরও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ম নট মহড় র মহড় য়

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ