পাল্টা শুল্ক স্থগিত করে আদালতের দেওয়া আদেশ ‘খুবই রাজনৈতিক’ ও ‘ভয়ানক’: ট্রাম্প
Published: 30th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক দেশটির এক ফেডারেল আদালতের দেওয়া আদেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন। আদেশে আদালত বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক স্থগিত করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতের ওই আদেশকে ‘ভয়ানক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের উচিত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে এ আদেশ বাতিল করা।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘গোপন চক্রান্তকারীদের আমাদের দেশকে ধ্বংস করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।’ তিনি নিজেই ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারব্যবস্থার শিকার বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে সরকারি এক আবেদনের পর গতকাল আদালতের ওই আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘গোপন চক্রান্তকারীদের আমাদের দেশকে ধ্বংস করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।’ তিনি নিজেই ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারব্যবস্থার শিকার বলেও উল্লেখ করেন।গত বুধবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক নিউইয়র্কের ওই ফেডারেল আদালত বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক স্থগিত করে আদেশ জারি করেন। দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুনবিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপে আদালতের বাগড়া, কে সীমা অতিক্রম করেছেন২১ ঘণ্টা আগেআদালতের তিনজন বিচারকের একটি প্যানেল আদেশে বলেন, প্রেসিডেন্ট শুল্ককে চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কতটা বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন বা তা কতটা কার্যকর হবে, এ বিষয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করছেন না। (ক্ষমতার) এ ধরনের ব্যবহার অননুমোদিত। এর কারণ তা অযৌক্তিক বা অকার্যকর বলে নয়, বরং এটি ফেডারেল আইন অনুমোদন দেয় না।
আরও পড়ুনইইউ পণ্যে শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেন ট্রাম্প২৬ মে ২০২৫চূড়ান্ত পর্যায়ে আদালতের এ আদেশ কার্যকর হলে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি একটি বড় ধাক্কা খাবে। তিনি উচ্চ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্যিক অংশীদারদের কাছ থেকে ছাড় আদায় করতে চাইছেন। সেই সঙ্গে উৎপাদন খাতের চাকরি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা এবং দেশের ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যঘাটতি কমানো তাঁর উদ্দেশ্য। নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এগুলো তার অন্যতম।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মানুষেরা২৭ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত