ভেঙে গেছে কালভার্ট, মুক্তাগাছা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১৫ গ্রামের মানুষের
Published: 30th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আয়মন নদীর ওপর নির্মিত একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। টানা বর্ষণে দুই পাশের মাটি সরে আজ শুক্রবার সকালে কালভার্টটি পাকা সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেঙে পড়ে। এতে মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ১৫টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি মুক্তাগাছা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আইমন নদী খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। দুই দিন ধরে টানা বর্ষণ চলছে। এতে নদীতে প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের পলশা গ্রামে একটি সেতুর দুপাশ থেকে মাটি সরে যেতে শুরু করে। একপর্যায়ে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে। কালভার্টটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে পলশা গহুর মোল্লা ব্রিজ নামে পরিচিত।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) জানায়, ২০০১ সালে ১০ মিটার দীর্ঘ ও ১২ ফুট প্রস্থের বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো.
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খেরুয়াজানী ইউনিয়নের ভিটিবাড়ি থেকে চান্দেরবাজার যাওয়ার পাকা রাস্তায় আইমন নদীর ওপর নির্মিত কালভার্টটি দিয়ে পলশা, ভিটিবাড়ি, চাপুড়িয়া, গড়বাজাইল, খিলগাতী, রামভদ্রপুর, বানিয়াকাজী, শিবপুর, কবীরপুর, ইটচকিসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সেতুটি ভেঙে পড়ায় গ্রামগুলোর মানুষ মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিষয়টি নজরে আনা হলে মুক্তাগাছার ইউএনও মো. আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক