ঈদ সকালে বাবা-মা কিংবা ভাইয়া-আপুদের চমকে দিতে চাও? কীভাবে যে চমকে দেবে, বুঝতে পারছো না? চিন্তা করো না! সেই বুদ্ধি তোমাদের দিচ্ছেন ফাহমিদা রিমা
সাদা কাগজের জাদু!
একটা সাদা কাগজ নাও। তারপর সেটির এক কোণায় নিজের মতো করে এঁকে ফেলো যাকে চমকে দিতে চাও তার ছবি। তারপর রং করে দাও ছবিটাতে। কাগজটার মাঝখানে ‘বাবা-মা, ভাইয়া-আপু, তোমাকে ভালোবাসি’– এই কথাটি লিখে দাও রং-পেন্সিলে। তারপর? তারপর মজার মজার ড্রয়িং করে ফেলো কাগজের বাকি জায়গাটুকু জুড়ে। কী, হয়ে গেলো তো কার্ড? এবার? এবার ঈদের সকালে বা আগের রাতে, বাবার শার্টের পকেটে কিংবা প্রিয় মানুষটির পছন্দের জায়গায় লুকিয়ে রেখে দাও কার্ডটি। সকালে বড়রা সেটির খোঁজ পেলে কতো যে খুশি হবেন!
একটু ঢঙ
এদিন ঘুম থেকে আগে ওঠার চেষ্টা করবে। তারপর বড়রা যতক্ষণ ঘুম থেকে উঠবেন না, ততক্ষণ আদুরে বিড়ালছানার মতো তাদের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকো। তারা খেতে বসলে খেতে বসবে, ব্রাশ করতে গেলে ব্রাশ করবে। কখনো তাদের সঙ্গ ছাড়বে না। নিশ্চয়ই তারা এক সময় অবাক হয়ে জানতে চাইবেন, ‘কী হয়েছে, বাবু?’ তখন তোমার বলার কোনো দরকার নেই, আজ যে ঈদের সকাল। বরং একটু ঢঙ করে বলে দিও, ‘এমনি এমনি! তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকতেই বেশি ভালো লাগছে।’
আদুরে ছানা
বড়রা তোমার গলায় যে ছড়াটি কিংবা যে গানটি শুনতে ভালোবাসেন, সুযোগ পেলেই তাদের শুনিয়ে শুনিয়ে সেটি আওড়াতে বা গাইতে থাকো। কিংবা তারা যে ধরনের দৃশ্য পছন্দ করেন, তেমন দৃশ্যের কয়েকটি ছবি এঁকে, তাদের দেখিয়ে জানতে চাও, ‘কোনটা বেশি সুন্দর, বলো তো?’ দেখবে, তারা খুব খুশি হয়ে গেছেন। ওহ, আরেকটা কথা, তারা যা একদমই পছন্দ করেন না, তেমন কিছু আজকের দিনে করতে যেও না যেন।
ঈদ সালামি
যার কাছ থেকে সালামি পাও তার পায়ে পায়ে ঘোরার দরকার নেই। বড়রা এমনিতেই ছোটদের খোঁজে। সকালে যদি তাদের মন ভালো করে দিতে পারো তবে তো কথাই নেই। ঈদ সালামির কপালই খুলে যাবে!
মায়ের পাশে
সারাদিন তো তোমরা অনেক ব্যস্ত থাকবে। তাই বলে মাকে ভোলা চলবে না। দিনে যদি সময় করতে নাও পারো; তবু সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের কাছ থেকে সারাদিনের পরিকল্পনা জেনে নাও। চাইলে তুমি নিজ থেকেই বলে দাও যে, আজ সারাদিন কী কী করতে চাও তুমি। আর টুক করে মায়ের কপালে ঈদের আগাম শুভেচ্ছাটা তুমিই মাকে দিয়ে দিও।
রাগ করে না.
যদি কখনো কোনো কারণে বড়দের সঙ্গে রাগারাগি হয়ে থাকে, যদি কোনোদিন তোমার কোনো আচরণে তারা মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে এই সকালে সেই কষ্ট, সেই অভিমান ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য এক অপূর্ব সুযোগ। এক কাজ করো, তাদের গলা জড়িয়ে আদর করে বলো, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। তুমি রাগ করে থেকো না, প্লিজ!’ n
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত রপর
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫