জোয়ারে বাঁধে ধস, বিধ্বস্ত দুই সহস্রাধিক ঘর
Published: 30th, May 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর ফলে দেশের ছয় জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টি ও উচ্চ জোয়ারের কারণে লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ৩০০ মিটার ধসে পড়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে পটুয়াখালী ও কক্সবাজার জেলায় দুই সহস্রাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সারা দেশের মতো ঢাকায়ও গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে নিউমার্কেট, কাজীপাড়া, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি পোহান হাজারো মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকেই স্থল নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এটি রাত আটটার দিকে শেরপুর জেলা পার হয়ে ভারতের মেঘালয়ের দিকে এগোচ্ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গতকাল রাত আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাজশাহী বিভাগ বাদ দিয়ে বাকি সব বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। লঘুচাপের প্রভাব এবং এর সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণেই এই বৃষ্টিপাত হতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় চট্টগ্রামে ২২৯ মিলিমিটার।
জোয়ারে লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে ৭৮ গ্রাম প্লাবিত
লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলীয় এলাকার অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব গ্রামের প্রায় দুই লাখ মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। এদিকে ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ উপড়ে লক্ষ্মীপুরের অনেক স্থানে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে গতকাল সকাল থেকেই বিদ্যুৎহীন পুরো জেলা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদরের চর রমনী মোহন; রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী; কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন, পাটারির হাট, চর কালকিনি, সাহেবের হাট, চর ফলকন; রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, চর রমিজ, বড়খেরী ও চরগাজী ইউনিয়নের মেঘনা নদীসংলগ্ন অন্তত ৪০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। বাড়িঘরের পাশাপাশি এসব গ্রামের ফসলি জমি, হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়।
জোয়ারের পানিতে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ধসে পড়ে। গতকাল সকালে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র উপজ ল র ত হয় ছ গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।