টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাতের গুলিতে হাইওয়ে পুলিশের রেকারচালকের সহকারী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে মহাসড়কটির পোস্টকামুরী চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই ব্যক্তির নাম তুহিন মিয়া। তিনি উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার পুলিশের রেকারচালকের সহকারী পদে মাসিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত। চিকিৎসার জন্য তাঁকে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তুহিন মিয়া জানান, দুর্ঘটনার খবর শুনে রেকারচালক ও পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তিনি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পোস্টকামুরী চরপাড়া এলাকার মহাসড়কের ওপর আড়াআড়িভাবে দুটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাঁরা রেকার থামিয়ে মাইক্রোবাসের চালকের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। তখন একজন জানান, তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। পরে তুহিন সেখান থেকে চলে আসার সময় হঠাৎ একজনের হাতে পিস্তল দেখতে পান। এতে তাঁর সন্দেহ হলে তিনি ডাকাত দলের মাইক্রোবাসের চাবি নিয়ে নেন। একই সঙ্গে পিস্তল বহনকারী ব্যক্তিকে ধরতে যান। এ সময় ওই ডাকাত তুহিনের বাঁ হাতে গুলি করে পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করেন। এরপর আহত অবস্থায় তুহিনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কুমুদিনী হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক জানান, তুহিনের বাঁ কবজিতে গুলি লেগেছে। তাঁর হাতে অস্ত্রোপচারসহ সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা হবে।

মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নেছার উদ্দিন আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে জানান, ভুক্তভোগীরা মির্জাপুর থানায় এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ লক র হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার বলেছেন, তিনি আপাতত এমন কোনো চুক্তির কথা ভাবছেন না, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সহায়তা করবে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনা নিয়েও ট্রাম্প অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সবশেষ এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনকে টমাহক দিতে তিনি এখনো অনিচ্ছুক।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আসলে তা নয়।’ তবে তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে নিজের মত বদলাতে পারেন।

গত ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে। বৈঠকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়।

গত শুক্রবার মার্ক রুত্তে বলেন, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়া হলে পরিণতি ভালো হবে না।

আরও পড়ুনটমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না২০ ঘণ্টা আগে

দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।

ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ