বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বৈষম্যবিরোধী নেত্রীকে মারধর, গ্রেপ্তার ৬
Published: 31st, May 2025 GMT
বোনের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা যুগ্ম-সদস্য সচিব বৈশাখী ইসলামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলার নগরকান্দা উপজেলার ভবুকদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে রাত ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখী ইসলামের বোনকে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় জালাল বেপারীর ছেলে শরীফ বেপারী উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সালিশ করে দেওয়ার কথা ছিল। সালিশ বৈঠক না হওয়ায় বৈশাখী ইসলাম দুপুরে থানা পুলিশ ও ইউএনওকে বিষয়টি জানায়।
পরে থানা পুলিশের একটি দল নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে বৈশাখী। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বৈশাখীকে মারপিট করে বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান তারা মোল্যা ও তার লোকজন। এ সময় উপস্থিত থাকা পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা।
বিষয়টি জানার পর জেলা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ নগরকান্দা উপজেলার ভবুকদিয়া গ্রামে বৈশাখীর বাড়িতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে বিএনপির নেতা কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বৈশাখী ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল মোহাম্মদ আসিফ ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং বাড়ি ভাঙচুর। আসামি ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকৌ গতকাল রোববার নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিকদলীয় মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও হোকৌ তাঁকে ‘নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার বিষয়ে মনোযোগী একজন নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় হোকৌ জোহরানের প্রতি এ সমর্থন জানান। ফলে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী জোহরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। তিনি রাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এই সমর্থন হাউস মাইনরিটি লিডার হেকিম জেফরিস, সিনেট মাইনরিটি লিডার চাক শুমারের মতো অন্য শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা এখনো জোহরানকে সমর্থন জানাননি। জেফরিস ও শুমার দুজনেই ব্রুকলিনের বাসিন্দা।
গভর্নর হোকৌর এ সমর্থন দুই মাসের বেশি সময় ধরে দুজনের মধ্যে বজায় রাখা সতর্ক দূরত্বের অবসান ঘটাল। গত জুনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে (দলীয় বাছাইপর্বে) জোহরান সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দেন। হোকৌ প্রথমে জোহরানকে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
হোকৌ লিখেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু আমাদের আলোচনায় আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি আমার মতোই এমন একটি নিউইয়র্ক গড়তে চান, যেখানে শিশুরা তাদের এলাকায় নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারবে এবং প্রতিটি পরিবারের জন্য সুযোগ হাতের নাগালে থাকবে। আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর এ লক্ষ্যকে আমি আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।’
জোহরানের নির্বাচনী প্রচারের মূল ভিত্তি ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং প্রগতিশীল বিভিন্ন এজেন্ডা, যেমন বিনা মূল্যে সিটি বাস, সরকারি গ্রোসারি এবং শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দাদের ওপর কর আরোপ।
জোহরান মামদানি