দরিদ্রদের জন্য বিতরণের চাল উত্তোলন করে মজুত ও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. শাহজাহানকে অবশেষে বহিষ্কার করেছে নকলা উপজেলা বিএনপি। 

গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) রাতে তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি শনিবার (৩১ মে) সকালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নকলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো.

খোরশেদুর রহমান। 

এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তাই তার বহিষ্কারের আদেশ দেওয়ার পর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

নকলা উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আলহাজ্ব খোরশেদুর রহমান ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব মো. মাহমুদুল হক দুলালের স্বাক্ষরিত বহিষ্কারের আদেশে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নকলা উপজেলা বিএনপি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮নং চরঅষ্টোধর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান কে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।”

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে তাকে আটক করা হয়। সেসময় ভিজিডির ৯৬ বস্তা চাল উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। এ ঘটনায় দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬-৭ নামে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩০মে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

ঢাকা/তারিকুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ