এশিয়ার দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি এবং যুদ্ধ প্রতিরোধে আমেরিকার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। একইসঙ্গে তিনি তাইওয়ানের জন্য চীনের ‘আসন্ন’ হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

শনিবার সিঙ্গাপুরে সাংগ্রিলা বৈঠকে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আমেরিকা ‘চীনে আধিপত্য বিস্তার বা গলা টিপে মারার চেষ্টা করে না।’ তবে চীনকে মার্কিন মিত্রদের ভয় দেখানোর সুযোগও দেওয়া হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারে। কারণ তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের অংশ দাবি করে আসছে চীন।

চীন ‘আধিপত্যবাদী শক্তি’ হয়ে উঠতে চাইছে উল্লেখ করে হেগসেথ  বলেছেন, বেইজিং এশিয়ার “অনেক অংশে আধিপত্য বিস্তার এবং নিয়ন্ত্রণ করার আশা করে।”

তিনি বলেন, বেইজিং “এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি করার জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক বাহিনী তৈরি করছে, প্রতিদিন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং মহড়া চালাচ্ছে।”

‘প্রতিরক্ষা সস্তায় আসে না’ উল্লেখ করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এশীয় দেশগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ