দীর্ঘ দেড় বছর পর আবার ক্যামেরার সামনে ফিরলেন অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠার পর এটাই তার প্রথম কাজ। এই প্রত্যাবর্তন আরও বিশেষ কারণ, এতে মিঠুর সঙ্গী তার স্বামী বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি জানা যায় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন মিঠু চক্রবর্তী। সেই সময় তিনি অভিনয় করছিলেন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এ। সেই ধারাবাহিক চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন মিঠু। সরে দাঁড়ান ধারাবাহিক থেকে। এরপর তার দীর্ঘ চিকিৎসা চলেছে। এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি।

সম্প্রতি একটি বিশেষ বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন মিঠু ও সব্যসাচী। বিজ্ঞাপনের সেটে দু’জনকেই দেখা গেছে হাসিখুশি এবং স্বাচ্ছন্দ্য পূর্ণ ভঙ্গিতে। চিকিৎসার ধাক্কায় চুল হারালেও উইগ পরে ক্যামেরার সামনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন মিঠু।

অন্যদিকে, সব্যসাচী চক্রবর্তী ইদানীং অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। নিজেই পেশাগত জীবন থেকে এক ধরনের স্বেচ্ছাবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সময় কাটছে পরিবার, প্রকৃতি এবং ভ্রমণকে ঘিরে। তবে স্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরে তিনি নিজেও আপ্লুত।

দীর্ঘ বিরতির পর টালিউডের এই জনপ্রিয় দম্পতিকে একসঙ্গে পর্দায় দেখতে প্রস্তুত অনুরাগীরা। মারণরোগ শরীরকে কাবু করলেও মনোবল ও ভালবাসাকে হারাতে পারেনি-মিঠু চক্রবর্তীর প্রত্যাবর্তন সেই প্রমাণই রেখে গেল। সূত্র: আজকাল ও সংবাদ প্রতিদিন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ