মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার, পুলিশ সদস্যসহ দুজন এখনো নিখোঁজ
Published: 1st, June 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম হাছিনা খাতুন (২৫)। আজ রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ এলাকায় নদীর তীরে লাশটি পাওয়া যায়। পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম এবং হাছিনা খাতুনের সন্তান তামিম এখনো নিখোঁজ। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে হাতিয়া ও ভাসানচর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার বেলা দুইটার দিকে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের কাছে মেঘনার ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পণ্যবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারডুবির ঘটনায় ৩৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো। গতকাল উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে। তিনি ভাসানচর সাবপোস্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার মো.
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনার চর রমিজ এলাকা থেকে হাছিনা খাতুন নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ নৌ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এখনো একজন পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিখোঁজ।
প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে চেয়ারম্যানঘাট থেকে পণ্য নিয়ে ভাসানচর গিয়েছিল ট্রলারটি। দুপুরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ট্রলারে থাকা ৩৯ যাত্রী নদীতে পড়ে যান। পরে অন্য ট্রলারের সহায়তায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে উদ্ধারের পরপরই অসুস্থ হয়ে পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন মারা যান। এরপর আজ আরও এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ স নচর ঘটন য় র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল
শিল্পীর সৌজন্যে