ধর্ম অবমাননার অভিযোগের পর ওএসডি হওয়া ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে সংযুক্ত থাকা সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনকে আবারও বদলি করা হয়েছে। এবার তাকে টাঙ্গাইলের সা’দত সরকারি কলেজে সংযুক্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে সই করেছেন উপ-সচিব মাহবুব আলম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা নাদিরা ইয়াসমিনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে ওএসডি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে টাঙ্গাইলের সা’দত সরকারি কলেজে সংযুক্ত করা হয়েছে।

নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নাদিরা ইয়াসমিনকে আগামী ৪ জুনের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, তাকে ওই দিন বিকেলেই তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য করা হবে এবং পিডিএস (পোস্টিং অ্যান্ড ডিউটি সিস্টেম) মাধ্যমে অবমুক্ত ও যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২৫ মে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের পর তাকে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে ওএসডি করে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে সংযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই আবার নতুন আদেশে তাকে বদলি করা হলো।

অভিযোগ উঠেছে, হেফাজতে ইসলামের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে তাকে ওএসডি করে। সংগঠনটির দাবি, নাদিরা ইয়াসমিন ইসলামবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন এবং কোরআনের আইনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে নরসিংদীতে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

তবে এ ঘটনায় ২৪ মে দেশের ১৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক যৌথ বিবৃতিতে নাদিরা ইয়াসমিনের পাশে দাঁড়ান। তারা নাদিরা ইয়াসমিনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান এবং হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার কামালসহ ৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার হওয়া মো. কামাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন কামাল হোসেনের বাবা আবুল কাশেম, মা মোছা. হাবীয়া খাতুন, চাচা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোসা. সানোয়ার খাতুন ওরফে মোছা. শাহানারা খাতুন।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম বলেন, দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব) মো. কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেম ও গর্ভধারিণী মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোসা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা সাজান। এর মাধ্যমে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, এ জন্য কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি কামালসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালাতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি কামালসহ তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট পাঁচজনের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

এদিকে জালিয়াতি করে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল হোসেনকে গত ৫ নভেম্বর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

আরও পড়ুনডিএনএ পরীক্ষা করানোর ঘোষণার পরদিন সেই ইউএনওকে ওএসডি০৫ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার কামালসহ ৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা