কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার
Published: 1st, June 2025 GMT
ঢাকা মহানগরীতে কোরবানির পশুর হাটে সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী। আজ রোববার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিপণন ও যান চলাচলব্যবস্থা নিয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ সতর্কবার্তা দেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পশুর হাটের ইজারাদারেরা সরকার নির্ধারিত হাসিল ছাড়া কোনো অর্থ আদায় করতে পারবেন না। কোনো যানবাহনকে জোর করে হাটে প্রবেশ করানো যাবে না। পশুর হাটের সীমা সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
ঢাকার পুলিশপ্রধান আরও বলেন, যত্রতত্র পশু ওঠানামা করানো যাবে না। রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে, জোর করে পশু বিক্রি করতে বাধ্য করলে বা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটের চৌহদ্দির বাইরে হাট বসানো যাবে না। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি বা গুজব ছড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের বিশেষ ইউনিট, ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা, লবণ ব্যবসায়ী সমিতি, ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং হাটের ইজারাদারেরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।