মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার
Published: 1st, June 2025 GMT
চলতি বছরের মে মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৬ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।
রবিবার (১ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আগের বছর একই সময়ের চেয়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩১ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
আরো পড়ুন:
শনিবার থেকে নতুন টাকা পাবেন গ্রাহকরা
নতুন টাকা বিনিময় শুরু, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সদ্য সমাপ্ত মে পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৭৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আগের বছর একইসময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৩৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
এর আগে, দেশে চলতি বছরের মার্চ মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি বাংলাদেশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যালেনে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া ঈদ উল আজহাকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের নিকট বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই ধারা চলতি মাসেও অনেকটা অব্যাহত থাকবে। যা রেমিট্যান্স আহরণে নতুন রেকর্ড গড়বে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার এবং সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ঢাকা/এনএফ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা