জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান কাতারের রাজধানীর দোহায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে যে গুজব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা খণ্ডন করেছে দল। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম আজ রোববার বিবৃতিতে বলেছেন, হীন উদ্দেশে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। 

গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেন, কাতারে মার্কিন চ্যার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স, বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াত আমির। তিনি এখন কাতারেই রয়েছেন। 

যদিও রোববার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে গিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে যোগ দেন জামায়াতের আমির। রাতে তিনি ঢাকায় ফেরেন। তবে প্রোপাগান্ডামূলক একটি ওয়েবসাইট থেকে দাবি করা হয়, ২৮ মে দোহায় বৈঠক করেন জামায়াত আমির। 

জামায়াত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৮ মে সকালে ঢাকার শাহবাগে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তৃতা করেন শফিকুর রহমান। একই দিন দুপুরে মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। বিকেলে গোলাম আযমের, সন্ধ্যায় আজিমপুর কবরস্থানে যথাক্রমে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও এটিএম আজহারুল ইসলামের স্ত্রীর কবর জিয়ারত করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ মে বৃহস্পতিবার সারাদিন নিজ বাসায় ছিলেন জামায়াত। রাতে ছিলেন দলীয় কার্যালয়ে। পরেরদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছেন। একইদিন সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রতিটি কর্মসূচি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। জামায়াত আমির বিদেশ গিয়ে থাকলে, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তথ্য থাকবে। কেউ চাইলে তা যাচাই করতে পারেন। 

নিবন্ধন ফিরে পাওয়া ন্যায়বিচার
আপিল বিভাগের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়াকে ন্যায়বিচার বলে আখ্যা দিয়েছেন জামায়াত আমির। রোববার বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম জ ম য় ত আম র

এছাড়াও পড়ুন:

হামজা আসতেই বাড়ল আগ্রহ

সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা। তিনি আসবেন বলে অপেক্ষা। ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে আর সমর্থকদের উচ্ছ্বাস বেড়েই চলেছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে অবশেষে ঘিয়ে রঙের জ্যাকেট ও কালো থ্রি কোয়ার্টার পরা হামজা দেওয়ান চৌধুরী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হলেন। সোমবার তাঁকে এক নজর দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে বিমানবন্দরে এসেছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। একজন তারকার জন্য এত সময় অপেক্ষা বাংলাদেশের ফুটবলে গত এক দশকে দেখা যায়নি। 

হামজা এখন বাংলাদেশের ফুটবলের পোস্টারবয়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের আগমনে ফুটবলে যেন নতুন হাওয়া লেগেছে। ৪ জুন ভুটান এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ সামনে রেখে উন্মাদনা বইছে। সেই উন্মাদনা আরও বাড়বে আগামীকাল কানাডাপ্রবাসী শমিত সোম ঢাকায় এলে।

লাল-সবুজের জার্সিতে হামজার অভিষেক হয়েছে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এ তারকাকে নিয়ে বাড়তি উন্মাদনার মূল কারণ ঘরের মাঠে প্রথমবার খেলবেন তিনি। তাই ভ্রমণ ক্লান্তি যেন গায়ে লাগেনি তাঁর। গতকাল ঢাকায় এসে বিকেলেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করেন। 

বুধবার ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রস্তুতি বলে সেখানে হামজাকে খেলাবেন কিনা, তা এখনও চূড়ান্ত করেননি বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তবে হামজা দুটি ম্যাচেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। বিমানবন্দরে গাড়িতে থাকা অবস্থায় হামজার কাছে জানতে চাওয়া হয় এই সময়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন? ‘ইয়্যা ভ্যারি গুড চান্স’– এ মন্তব্যেই স্পষ্ট জয়ের জন্য কতটা ক্ষুধার্ত তিনি। 

টিম হোটেলে ফিরে সমর্থকদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হামজা, ‘আসসালামু আলাইকুম। সব সমর্থক, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। দুর্দান্ত দলের অংশ হতে পেরে গর্ববোধ করছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা সফল হব। আশা করি, সবাই আমাদের সমর্থন করবেন।’

সামনে ভুটান, তবে বাংলাদেশের ভাবনায় এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি। বাছাইয়ে গ্রুপ ‘সি’তে ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো বাংলাদেশের পয়েন্ট ১। তাই এশিয়ান কাপে খেলার দারুণ সুযোগ লাল-সবুজের দলটির সামনে। এই ম্যাচে শুধু হামজাই নন, শমিত সোম, ফাহমিদুল এমনকি ইংল্যান্ডপ্রবাসী কিউবা মিচেলকেও দেখা যেতে পারে। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে ভুটানের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ মিতুল মারমা-তপু বর্মণদের। ইতোমধ্যে তিন দিন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের কৌশলগুলো প্রকাশ্যে আনতে চায় না বলে গত দু’দিন ক্লোজডোরে প্রস্তুতি নেয় ক্যাবরেরার দল।

ফুটবলারদের অনুশীলন ক্লোজডোরে হলেও সমর্থকরা ভাসছেন উচ্ছ্বাসে। সিঙ্গাপুর ম্যাচে টিকিট নিয়ে যে তুমুল সাড়া ফেলেছিল, তা দেশের ফুটবলের চেহারা বদলে দিয়েছে। অনেক দর্শক অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। তাই অনেকেরই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ হবে না। তাই যারা টিকিট কাটতে পারেননি, তাদের আক্ষেপ কমিয়ে দিতে আটটি বিভাগে ফ্যান জোনে খেলার দেখার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ